ট্রেনে এমার্জেন্সি ব্রেক। দ্রুত গতিতে চলতে চলতে হঠাৎ গতি কমল ট্রেনের। আর সেই টাল সামলাতে না পেরে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল দুই যাত্রীর। ঝাড়খণ্ডের কোডারমা জেলায় দিল্লিগামী একটি ট্রেনে এমার্জেন্সি ব্রেকের সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পূর্ব মধ্য (ইস্ট সেন্ট্রাল) রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শনিবার পুরী-নয়াদিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস বেশ দ্রুত গতিতেই চলছিল। এমন সময়েই ঘটে অঘটন।
হঠাৎ ওভারহেড বৈদ্যুতিক তার পড়ে যেতে দেখেন চালক। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি এমার্জেন্সি ব্রেক প্রয়োগ করেন। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে গোমোহ ও কোডারমা রেল স্টেশনের মাঝামাঝি পারসাবাদের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
ধানবাদ রেল ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্স ম্যানেজার অমেরেশ কুমার বলেন, 'আচমকা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেন থামানোর জন্য এমার্জেন্সি ব্রেক দেওয়া হয়। সেই সময়ে ছিটকে পড়ে, ধাক্কা লেগে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।'
সেই সময়ে ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছিল। ফলে ট্রেন যে বেশ ভাল গতিতেই চলছিল, তা বলাই বাহুল্য। এমন পরিস্থিতিতে আচমকা এমার্জেন্সি ব্রেক দেওয়ায় যাত্রীরা টাল সামলাতে পারেননি। অনেকেই আসন থেকে ছিটকে যান।
ঘটনার পর ধানবাদ সেকশনে প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
এর পরে, পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে গোমোহ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রেনটি টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ডিজেল ইঞ্জিন আনা হয়। গোমোহ থেকে ফের একটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনটি দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু করে।