২০০১-এ সংসদ হামলার বার্ষিকী। আর সেই দিনই ফের প্রশ্নের মুখে সংসদের নিরাপত্তা। বুধবার হঠাৎ লোকসভার দর্শকের গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিলেন দুই যুবক। লাফ দিয়ে একেবারে সাংসদের বেঞ্চে সামনে পৌঁছে যান। হাতে ছিল রঙের গ্যাসের স্প্রে। অন্যদিকে সংসদের বাইরেও এদিন একই ধরনের ঘটনায় তোলপাড়। এদিন এক যুবক ও এক মহিলা একইভাবে রঙের গ্যাস ছিটিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। আকষ্মিক এই ঘটনায় সংসদ ভবনের বাইরে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
সংসদ ভবনের বাইরের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের নাম নীলম ও আনমোল শিন্ডে। ধৃত মহিলা নীলমের বয়স ৪২ বছর। তিনি হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় অভিযুক্তের নাম আনমোল শিন্ডে। আনমোলের বাবার নাম ধনরাজ শিন্ডে। তিনি মহারাষ্ট্রের লাতুরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ২৫ বছর।
সংসদ ভবনের বাইরে এবং পরিবহন ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। দুজনকেই পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা ব্যুরোর টিমও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সংসদের বাইরে বিক্ষোভকারীরা 'ভারত মাতা কি জয়, জয় ভীম, স্বৈরাচার চলবে না' বলে স্লোগান দেয় বলে সূত্রের খবর। সেই সময় তাদের হাতে রঙিন গ্যাসের স্প্রে ছিল। তার হলদেটে ধোঁয়ায় চারদিক ঢেকে যায়। আন্দোলনকারীদের পুলিশ পাকড়াও করলে তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের বক্তব্য কেউ শুনতে পাচ্ছে না। সেই কারণে তাঁরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
লোকসভার ভেতরেও তোলপাড় সৃষ্টি করে দুই যুবক
এদিন লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেন দুই যুবক। দুই যুবকের নাম সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি বলে জানা গিয়েছে। সাংসদ দানিশ আলি জানান, যে দুই যুবক হাউসে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাঁরা একজন সাংসদের নামে লোকসভা ভিজিটর পাসে এসেছিল। নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
মনোরঞ্জন ডি কর্ণাটকের মহীশূরের বাসিন্দা। বয়স ৩৫ বছর। বেঙ্গালুরুর বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন।
তবে সংসদের ভেতরে-বাইরে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী যুবকরা পরস্পরের সঙ্গে জড়িত কি না সেই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি।