সোমবার বিহার বিধানসভায় নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং বিজেপির জোটের পরীক্ষা। আজ রাজ্য বিধানসভায় আস্থা ভোট। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় ১২৮ জনই আছেন এই জোটে। ফলে খুব সহজেই আস্থাভোট উতরে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১২২টি আসন লাগে।
আপাতত ১২৮ জনের মধ্যে ১২৭ জন জেডিইউ বিধায়কই এই শিবিরে রয়েছেন। শুধুমাত্র বিজেপি বিধায়ক মিশ্রী লাল যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, RJD বিধায়ক হরিশঙ্কর যাদব এবং নীলম দেবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ফ্লোর টেস্টের আগে, রবিবার জেডি(U) নেতা এবং বিহারের মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরীর বাড়িতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকা হয়ে। বৈঠকে, জেডি(ইউ) প্রধান এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, তিনি আস্থা ভোটে জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি তাঁর দলের সমস্ত বিধায়কদের ফ্লোর টেস্টের সময় বিধানসভায় উপস্থিত থাকার এবং বিধানসভার কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে এমন কোনও ঘটনায় জড়িত না থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজয় কুমার চৌধুরীর বাড়িতে রবিবারের বৈঠকে কয়েকজন জেডি(ইউ) বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্যস্ততার কারণে আগে থেকে জানিয়েই তাঁরা আসেননি। বিজয় কুমার চৌধুরীও আস্থা ভোটের সময় তাঁরা যাতে(অনুপস্থিতরা) বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই, সূত্রের খবর, জেডি(ইউ) বিধায়ক দিলীপ রায়, বিমার ভারতী এবং সুদর্শন কুমার সিং রবিবারের বৈঠকে যাননি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিহারে এনডিএ জোট মন্ত্রী শ্রাবণ কুমারের বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেয়। মজার ব্যাপার হল, সেদিনেও বেশ কয়েকজন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) বিধায়করা শনিবার রাত থেকেই তেজস্বী যাদবের বাড়িতে গিয়ে জড়ো হয়েছেন। প্রথমে, শুধুমাত্র RJD সদস্যদেরই তেজস্বীর বাসভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়। কিন্তু পরে বিহারের প্রাক্তন মহাগঠবন্ধনের বাম নেতারাও সেখানে যোগ দেন। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, বিধায়করা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মহাগঠবন্ধনের সদস্যরা ঐক্য প্রদর্শনের জন্য একইসঙ্গে রাজ্য বিধানসভায় ঢুকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।