Advertisement

CAA: ভারতের সংবিধান লঙ্ঘন হতে পারে, CAA নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে চাঞ্চল্য

লোকসভা ভোটের আগে দেশে কার্যকর করা হয়েছে সংশোধিত নাগরিরকত্ব আইন বা সিএএ। যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এই আবহে সিএএ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের এক বক্তব্য এবার প্রকাশ্যে এল। মার্কিন কংগ্রেসের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষণা সংস্থার এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিএএ-র কিছু নিয়ম ভারতীয় সংবিধানকে লঙ্ঘন করতে পারে। 

সিএএ-র সমালোচনা মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে।
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 22 Apr 2024,
  • अपडेटेड 11:05 AM IST
  • লোকসভা ভোটের আগে দেশে কার্যকর করা হয়েছে সংশোধিত নাগরিরকত্ব আইন বা সিএএ।
  • সিএএ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের এক বক্তব্য এবার প্রকাশ্যে এল।
  • সিএএ-র সমালোচনা করা হয়েছে।

লোকসভা ভোটের আগে দেশে কার্যকর করা হয়েছে সংশোধিত নাগরিরকত্ব আইন বা সিএএ। যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এই আবহে সিএএ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের এক বক্তব্য এবার প্রকাশ্যে এল। মার্কিন কংগ্রেসের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষণা সংস্থার এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিএএ-র কিছু নিয়ম ভারতীয় সংবিধানকে লঙ্ঘন করতে পারে। 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। এই আইন মোতাবেক, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো দেশ থেকে যদি সে দেশের সংখ্যালঘুরা ভারতে আশ্রয় চান, তা হলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার। সংসদের দুই কক্ষে এই বিল পাশ পাওয়ার পরে অনুমোদন দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে তারপর দীর্ঘ সময় পার হলেও সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। সিএএ-র বিরোধিতা জানিয়ে সরব হয়েছে বহু রাজনৈতিক দলই। প্রথম থেকেই সিএএ-র বিরোধিতা জানিয়ে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

কংগ্রেসেনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'সিএএ-র মূল নিয়মে বলা হয়েছে যে, মুসলিম বাদে ৬ ধর্মের অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এটা ভারতীয় সংবিধানকে লঙ্ঘিত করতে পারে।' রিপোর্টে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিএএ বিরোধিতাকারীরা আশঙ্কা করছেন যে, ক্ষমতাসীন বিজেপি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে। তারা মুসলিম বিরোধী এজেন্ডা রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। সিএএ কার্যকর করার সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ওই রিপোর্ট। বলা হয়েছে, যে সময়ে সিএএ কার্যকর করা হল, তার মধ্যে রাজনীতি রয়েছে। 

সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, কারও নাগরিকত্ব যাবে না। 
CAA প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, 'সিএএ বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল, তা পূরণ করা হয়েছে। সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।' বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শাহ বলেন, 'দেশের সুরক্ষা নিয়ে রাজনীতি করছেন। মমতাদিকে বলছি, দয়া করে রাজনীতি করবেন না। বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংযোজন, 'উনি (মমতা) শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীর পার্থক্য বোঝেন না। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।'

Advertisement


মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'সিএএ-র সঙ্গে এনআরসির যোগ রয়েছে। আমরা মানব না। মানুষকে হেনস্থা করা লক্ষ্য নয়। মানবিক করা উদ্দেশ্য। সবাইকে নিয়ে বাঁচতে চাই। বর্ণবৈষম্যের সিএএ মানি না। বাংলায় কী করেছে, ভারতে কী করেছে, মুসলিম সমাজকে বাদ দিয়েছে। কোনও স্বচ্ছতা নেই। কাউকে অধিকার দিলে খুশি হই। যে পদ্ধতিতে সারা পৃথিবী করে, সেটা করুন,তা নয়।' বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা এদিন আরও বলেছেন, 'এটা বিজেপির রাজনৈতিক ছক্কা। ধাপ্পা। ভোটের জন্য করেছে এটা। ভোটের আগে এটা ললিপপ।'

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement