দুর্গাপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে রণক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশ। বাহরাইচের একটি গ্রামে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। যার জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় গান বাজানো নিয়ে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের পর ওই গ্রামে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অভিযোগ, প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য যে শোভাযাত্রা যাচ্ছিল তাকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর ছোড়া হয়। তারপরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী।
ঘটনার পর প্রায় ৩০ জনকে আটক করে বাহরাইচ পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সলমান। সে দোকান থেকে ওই শোভাযাত্রাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, দোষীদের রেয়াত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
এক্স হ্যন্ডেলে যোগী লিখেছেন, 'উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলার সেই গ্রামে যারা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। নিরাপত্তা সবার জন্য তবে যাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে ও যারা জড়িত তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। প্রতিমা নিরঞ্জন চলবে। প্রতিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও সংগঠনকে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন প্রশাসন ও পুলিশকে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যাপারে সূচনা দেয়।'
পুলিশ সূত্রে খবর, রাম গোপাল মিশ্র নামে এক ব্যক্তির গুলি লাগে। ওই শোভাযাত্রায় ছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মারা যান তিনি।
যদিও নিহতের পরিবারের সদস্যরা দেহের শেষকৃত্য করতে রাজি হননি। দোষীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁরা অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া করবেন না। ঘটনার পর বাহরাইচের দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন চলবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা জড়িত তাদের খোঁজ চলছে। তাদের হাতে বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে সেগুলো দেখে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।