Hathras Stampede: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১৬। হাথরসের রতিভানপুরে 'সৎসঙ্গ'-চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান এতগুলি মানুষ। দুর্ঘটনায় ১৮ জন আহত হয়েছেন, যারা চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু বলে জানা যায়।
এই দুর্ঘটনায় আগ্রা ও আলিগড় কমিশনারের নেতৃত্বে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নির্দেশে সরকারের দুই বরিষ্ঠ মন্ত্রী এবং ডিজিপি সহ মুখ্য সচিবও ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন।
মঙ্গলবার সংসদে অধিবেশন চলাকালীন উত্তরপ্রদেশে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অধিবেশন থামিয়ে এ ঘটনায় সমবেদনা জানান।
ফলত প্রশ্ন উঠছে সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটির আয়োজনে ত্রুটি ছিল কিনা। সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটির সদস্য মহেশ চন্দ্র জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানটির আয়োজন হয়েছিল। অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হলে ভোলেবাবার গাড়ির পিছনে ছুটতে গিয়ে পদপিষ্ট হন শ'খানেক মানুষ। প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর একের পর এক মানুষ কাদায় পড়ে যান, তাদের সাহায্য করার কেউ ছিল না।
ভোলে বাবা কে?
'ভোলে বাবা' উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার পাটিয়ালি তহসিলের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) প্রাক্তন কর্মী বলে দাবি করেন। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতি মঙ্গলবার ভোলে বাবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম হয়। এই সমাবেশের সময়, স্বেচ্ছাসেবকরা ভক্তদের জন্য খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করেন।
অভিযোগ, এত লোকের সমাগম সত্ত্বেও সেখানে পর্যাপ্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বা অনুমতি ছিল না। সেই সঙ্গে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আয়োজন, অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্যকর্মীরও ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
এই ঘটনাটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার এবং ঘটনাস্থলে ত্রাণ কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি এডিজি আগ্রা ও আলিগড় কমিশনারের নেতৃত্বে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঠে একটি সৎসঙ্গ প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল। সৎসঙ্গ শেষ হলে গুরুজির গাড়ির পিছনে সবাই পা ছুঁতে দৌড়ে যায়।