Uttarkashi Tunnel Collapsed: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীতে ভয়াবহ ঘটনা। ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কে নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে ধস নেমে আটকে প্রায় ৪০ জন শ্রমিক। এখনও পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি। বাঁচিয়ে রাখতে সরবরাহ করা হচ্ছে অক্সিজেন। পাইপলাইনে পাঠানো হচ্ছে খাবারও। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রয়েছে দমকলও। আজ অর্থাত্ সোমবার সকাল পর্যন্ত খবর, সব শ্রমিকই নিরাপদে রয়েছেন। হতাহতের কোনও খবর নেই।
উত্তরকাশী জেলায় একটি নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশ ধসে যায় রবিবার। উত্তরকাশীর এসপি অর্পণ যদুবংশী জানান, যমুনোত্রী ন্যাশনাল হাইওয়েতে সিল্কিয়ারা থেকে ডান্ডালগাঁও পর্যন্ত টানেলটি তৈরি করা হচ্ছিল । ওই টানেলের শুরুর প্রায় ২০০ মিটার দূরে টানেলটি ভেঙে গিয়েছে। টানেল নির্মাণ করছে এইচআইডিসিএল।
পাইপের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন
সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে বলে জানিয়ে প্রশাসন। তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতে পাইপের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন। এই পাইপলাইনে মাধ্যমেই ছোলার প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে রাতে। আটকে পড়া শ্রমিকদের ২৪ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার করা যায়নি।
রয়েছেন বাংলার ৩ শ্রমিক
নির্মীয়মান ওই সুড়ঙ্গে বিহারের ৪ জন, উত্তরাখণ্ডের ২, পশ্চিমবঙ্গের ৩, উত্তরপ্রদেশের ৪, ওড়িশার ৫, ঝাড়খণ্ডের ১৫, অসমের ২ ও হিমাচলপ্রদেশের ১ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। রাতেই সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকরা খাবার চান। তাঁদের পাইপের মাধ্যমে ছোলা পাঠানো হয়। বড় রাস্তা থেকে প্রায় ৬০ মিটার দূরে আটকে রয়েছেন তাঁরা।
এই সুড়ঙ্গে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছতে ১৬০ জন উদ্ধারকারী দল ড্রিলিং করছে। ঘটনার দিকে নজর রাখছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তাঁর নির্দেশ, দ্রুত গতিতে উদ্ধারকাজ চালানো হোক। তিনি রবিবার থেকেই উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে উদ্বোধন
সব মরশুমেই যাতে নিরাপদে যাতায়াত করা যায়, সেই জন্য এই সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। এটি নির্মাণ হলে উত্তরকাশী থেকে যমুতোত্রী ধামের রাস্তা ২৬ কিমি কমে যাবে। সাড়ে ৪ কিমি দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গ ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে চালু করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।