হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক ময়দানে ঘুঁটি সাজাচ্ছে শাসক-বিরোধী। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন চর্চায় ভিনেশ ফোগাট এবং বজরং পুনিয়া! কংগ্রেসের টিকিটেই কি ভোটের ময়দানে নামতে চলেছেন তাঁরা? তুঙ্গে জল্পনা। সেই জল্পনা আরও বেড়েছে দুই কুস্তিগীরের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাক্ষাতে। বলে রাখি, ভিনেশ কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল।
কোন আসন থেকে টিকিট পেতে পারেন?
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, দাদরি থেকে টিকিট দেওয়া হতে পারে ভিনেশ ফোগাটকে। বাদলি বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে লড়তে ইচ্ছুক বজরং পুনিয়া। কিন্তু কংগ্রেস চাইছে,ওই আসনের পরিবর্তে জাট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন থেকে তিনি প্রার্থী হোন। মঙ্গলবারই হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা বাবরিয়া বলেছেন, ভিনশকে নিয়ে শীঘ্রই জল্পনার অবসান ঘটবে।
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভিনেশ-বজরঙের সাক্ষাতের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিলই। ভিনেশ ফোগাট সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। অতিসম্প্রতি জিন্দ, রোহতক এবং শম্ভু সীমান্তে কৃষক এবং খাপ পঞ্চায়েতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন ভিনেশ। তাঁকে স্বর্ণপদক দিয়ে বরণও করা হয়। ভিনেশ জানিয়েছেন, তাঁর বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কৃষকরা।
অলিম্পিক থেকে ফেরার পর ভিনেশের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডাকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডাও ভিনেশকে রাজ্যসভায় পাঠানোর দাবি করেছিলেন। যদিও তাঁর বয়সের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ভিনেশের কাকা মহাবীর ফোগাট এবং বোন ববিতা ফোগাট কংগ্রেসের এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছিলেন।
ভিনেশ রাজনীতিতে এলে কী হবে?
ভিনেশ ফোগাটের সম্ভাব্য রাজনৈতিক অভিষেক হরিয়ানার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। খাপ পঞ্চায়েত এবং কৃষকদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নির্বাচনে সুবিধা পাইয়ে দেবে। যদিও ভিনেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা করেননি। রাজনৈতিক দলগুলি তাঁকে পেতে চাইছে বেশ কিছুদিন ধরেই। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভিনেশ ফোগাটের ভূমিকা হরিয়ানার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে।
হরিয়ানায় কবে নির্বাচন?
হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ৫ অক্টোবর। ভোট গণনা হবে ৮ অক্টোবর। এর আগে ১ ও ৪ অক্টোবর ছিল নির্বাচনের দিনক্ষণ। নির্বাচন কমিশন তা পরিবর্তন করে। কমিশন জানায়, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার এবং ঐতিহ্য উভয়কেই সম্মান করতে এই সিদ্ধান্ত। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অশোজ অমাবস্যা উৎসব। গুরু জম্বেশ্বরের স্মরণে ওই দিন উৎসব পালন করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়।