শারীরিক সম্পর্ক করে না স্বামী। ২ বছর ধরে। সেজন্য চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ নিলেন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, স্বামীকে শারীরিক সম্পর্কের অনুরোধ করেছি। শ্বশুর বাড়ির সদস্যদেরও জানানো হয়েছে। অথচ তারপরও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এবার থানায় চলে গেলেন সেই মহিলা। অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ঘটনা মুজফফরপুরের। জানা যায়, শারীরিক সম্পর্ক না করায় স্বামীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন ওই মহিলা। সেই ঘটনায় স্বামীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। নির্যাতিতা বৈশালী জেলার লালগঞ্জ থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত স্বামী অহিয়াপুর থানা এলাকার বাসিন্দা।
FIR-এ সেই মহিলা লিখেছেন, 'আমার বিয়ে হয়েছিল ৩১ মে ২০২১ সালে। বিয়ের পর আমি আর পাঁচজনের মতো শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করি। তবে বিয়ের পর দুই বছর কেটে যায়। আমার স্বামী আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেনি। তখন আমি শ্বশুরকে সেই কথা বলি। কিন্তু তিনিও আমার স্বামীকে এই নিয়ে কোনও কথা বলেননি। এরপর আমি স্বামীকে জিজ্ঞাসা করি, তুমি শারীরিক সম্পর্ক কেন করো না? কিন্তু সে তার কোনও উত্তর দেয়নি। প্রায়ই গালাগালি ও মারধর করত। শুধু তাই নয়, বাবা-মায়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা শুনে ও বলত, বাড়ি থেকে বের হলে তোকে ও তোর পুরো পরিবারকে মেরে ফেলব।'
FIR-এ সেই মহিলা আরও জানান, এরই মধ্যে দাদা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অজুহাতে কোনওরকমে বাপের বাড়ি যাই। তবে তারপর থেকেও স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হুমকি দিতে থাকে।
এই অভিযোগ নিয়ে মহিলা থানার অফিসার অদিতি কুমারী বলেন, গোটা ঘটনার এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। এবার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জবানবন্দিতে মহিলা জানান, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। অনেক বোঝানোর পরও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত এফআইআর দায়ের করতে হয়। স্বামীর পাশাপাশি আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার কারণ, সবাই ওই মহিলাকে অহেতুক অপমান করত। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ আইপিসির ৩৪১, ৩২৩, ৪৯৮A, ৩৭৯, ৫০৪, ৫০৬, ৩৪ ধারায় এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছে।