অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) বড় শর্ত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দিল্লি আফগারি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তিহাড় জেলে বন্দি কেজরিওয়ালকে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, যদি আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয়, তাহলে কোনও রকম সরকারি কাজ বা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, অন্তর্বর্তী জামিন পেলে কেজরিওয়াল কি তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না? এই মামলার শুনানি হবে ফের ৯ মে।
২০ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজত
প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালকে ২০ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ বলে, 'আমরা অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে সব পক্ষের সওয়াল শুনলাম। আমরা আবার পরশু দিন তারিখ দিচ্ছি। যদি সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।'
'আপনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা, আপনার ব্যক্তিগত বিষয়'
এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, কেজরিওয়াল কি আফগারি দফতরের নথিতে সই করতেন, অন্যদের নির্দেশ দিতেন? উত্তরে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, না, উনি আফগারি দফতরের কোনও বিষয় নিয়ে ডিল করতেন না। উনি একজন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, 'আমরা স্পষ্ট করতে চাই, যদি ওঁকে জামিন দেওয়া হয়, তাহলে কোনও রকম সরকারি কাজ করতে পারবেন না। আমরা কোনও সরকারি কাজে নাক গলাতে চাই না। আপনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা, আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা শুধুমাত্র নির্বাচনের দিকটি দেখে অন্তর্বর্তী জামিনের বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। নইলে এ বিষয়ে চিন্তাই করতাম না।'
'এটি একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতি'
সুপ্রিম কোর্ট ইডি-কে বলে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনে প্রচার দরকার। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের কথায়, 'এটি একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। এটা এমন নয় যে উনি অভ্যাসগত অপরাধী। নির্বাচন ৫ বছরে একবার হয়। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজও জেলে বসে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছিলেন।'
তখন ইডি-র আইনজীবী পাল্টা সওয়ালে বলেন, কোনও রাজনীতিবিদ বিশেষ অধিকার পেতে পারেন না। তাহলে জেলবন্দি সব অভিযুক্ত সাংসদ, বিধায়ককেও জামিন দেওয়া উচিত?
সব পক্ষের সওয়াল শুনে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি ধার্য করে ৯ মে।