করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের মৃতদেহ গুলি রাখা হয়েছিল নিকটবর্তী বাহানাগা হাইস্কুলের ভিতর। স্কুলের 6 টি ক্লাস রুমের ভিতরে সার দিয়ে রাখা হয়েছিল 200টি মৃতদেহ। পরে মৃতদেহ সরানো হলেও স্কুলের ভিতরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল দেহাংশ। মাটিতে ছিল রক্তের দাগ। আর সর্বোপরি প্রচণ্ড গরমে বেশকিছু দেহে পচন ধরে যাওয়ায় স্কুলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে দুর্গন্ধও। এবার সেই স্কুলটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হল। জানা গিয়েছে সেই স্কুলে আর সন্তানদের মা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিভাবকরা। কারণ দুর্ঘটনার পরপর স্কুলে গিয়ে কী পরিস্থিতি দেখে এসেছিলেন অভিভাবকরা। ওই স্কুলে মৃত যাত্রীদের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অন্ধবিশ্বাসও ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপরই অভিভাবকদের মনোভাব বুঝে স্কুলটি নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল স্থানীয় প্রশাসন। আপাতত জানা গিয়েছে স্কুলটি ভেঙে কোনও ল্যাবরেটরি তৈরি হবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার স্কুল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক থেকে শিক্ষা দফতরের কর্তারা। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। স্কুলের জমিতে পুজো অর্চনা করার পরামর্শও দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। 18 জুন পর্যন্ত ওড়িশায় রয়েছে গরমের ছুটি। আর আগেই তড়িঘড়ি তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল স্কুলটিকে নিয়ে। উল্লেখ্য, শুক্রবার 2 জুন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় 288 জনের। 65 বছরের একটি স্কুলকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তাও আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। দুর্ঘটনার পর স্কুলটি কার্যত মর্গে পরিণত হয়েছিল। স্কুলেরই এক শিক্ষিকা জানালেন, দুর্ঘটনার আগে পড়ুয়ারা দিব্যি আসছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার পর সবকিছুই বদলে গিয়েছে। পড়ুয়াদের আবার স্কুলে আসার আবেদন জানান তিনি।