Narasimha Jayanti puja 2024: নৃসিংহ চতুর্দশী বা নরসিংহ জয়ন্তী (Narasimha Jayanti 2024): হিন্দুদের কাছে একটি এতি পবিত্র দিন ও তিথি। নরসিংহ জয়ন্তী হল অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। বৈশাখ মাসে শুক্লপক্ষের বৈশাখী চতুর্দশীতে পালন করা হয় নরসিংহ জয়ন্তী বা নৃসিংহ চতুর্দশী। বিষ্ণুপুরাণ অনুসারে নরসিংহ বা নৃসিংহ হলেন বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার।
নরসিংহ জয়ন্তীর বাংলা তারিখ
নরসিংহ জয়ন্তী পূজা-২২ মে ২০২৪, বুধবার
চতুর্দশী মুহূর্ত শুরু- ২১ মে ২০২৪, সন্ধ্যে ৫ঃ৩০ টায়
চতুর্দশী মুহূর্ত শেষ-২২ মে ২০২৪, সন্ধ্যে ৬ঃ৫৬ টায়
নরসিংহ জয়ন্তী উপলক্ষে ভক্তরা, বিশেষ করে বিষ্ণুর ভক্তরা সারাদিন উপবাস পালন করে থাকেন। এ ছাড়া বিশ্বাস করা হয় যে, এই চতুর্দশীকে সূর্যাস্তের সময় তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং সেই কারণে সেই সময়গুলিতে বিশেষভাবে পূজা অর্চনা করা হয়। যার ফলে অধর্মকে দূরে রেখে ধর্মের পথে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে। জনসাধারণের সঠিক কাজ করা এবং অন্য কারও ক্ষতি না করাই হলো নরসিংহ জয়ন্তীর মূল উদ্দেশ্য।
নরসিংহ জয়ন্তীর ইতিহাস ও পৌরাণিক কাহিনী:
প্রতিটি উৎসবের পিছনে কোনও না কোনও পৌরাণিক ঘটনা রয়েছেই, যা জানলে ভক্তি, শ্রদ্ধা অনেক গুণ বেড়ে যায়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে ঋষি কাশ্যপ ও তার স্ত্রী দিতির দুই সন্তান ছিল। তাদের নাম হিরণ্যশিপু ও হিরন্যাক্ষ। দুই ভাই ভগবান ব্রম্ভাকে সন্তুষ্ট করার জন্য কঠোর তপস্যা শুরু করেন। ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হয়ে তাদের এমন বর দেন যে, দেখা যায় পৃথিবীর কোনও জীব, অস্ত্র এমন কি দেবতারা ও তাদের হত্যা করতে পারবেন না।
এমন বর পেয়ে তারা অবিচারে হত্যা করতে থাকে। এমন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে বিষ্ণু বরাহ অবতার ধারণ করে হত্যা করেন হিরন্যাক্ষকে। তারপর নরসিংহ অবতার নিয়ে হীরান্যকশিপুকে হত্যা করেন। আর সেই থেকেই পালিত হয়ে আসছে নরসিংহ জয়ন্তী উৎসব।
নরসিংহ জয়ন্তীর তাৎপর্য
শাস্ত্রমতে অত্যাচারী হিরণ্যশিপুকে বধ করতে মর্ত্যে এসেছিলেন বিষ্ণু। আর সেই কারণে এই দিনে নিষ্ঠাভরে শ্রী বিষ্ণুর পূজা করলে সমস্ত রকম অশুভ শক্তি, জটিলতা, সমস্যা, দূর হয়ে সফলতার দেখা পাওয়া যায়। উপবাস থাকার সাথে সাথে এই দিন বিভিন্ন রকমের নৈবেদ্য দিয়ে নরসিংহ উৎসব অথবা পূজা করা হয়। বিষ্ণুর ভক্তরা সংসারে উন্নতি, সমস্ত কাজে সফলতা পাওয়ার জন্য, ব্যবসায় উন্নতি, ধন সম্পদ বৃদ্ধির জন্য নরসিংহ জয়ন্তী পালন করে থাকেন। এই দিন নরসিংহের মূর্তি পূজা দেওয়ার পাশাপাশি ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মী দেবীকেও পূজা করা হয়। ভক্তিতে থাকে শক্তি, তাই যদি ভক্তি ভরে, নিষ্ঠা ভরে পূজা করা যায় তাহলে কিন্তু সমস্ত বাধা বিপদ কাটিয়ে জীবনকে আরো বেশি সুন্দর ও সহজ করে তোলা যায়।