Bipadtarini Puja 2024 Must Do It: হিন্দু বাঙালিদের কাছে বিপত্তারিণী পুজো বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ। শক্তিরূপিনী দেবীরই এক রূপের প্রকাশ পায় তাঁর মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওডিশা ও অসমে এই পুজো পালিত হয়। বিশেষ করে বাড়ির মহিলাদের মধ্য ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে বিপত্তারিণী মায়ের পুজো প্রচলিত আছে।
আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা হয়। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। বিশ্বাস, ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। সংসারের সব বিপদ দূর করতে হিন্দু মহিলারা এই ব্রত পালন করে থাকেন। এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সব কিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে।
জ্যোতিষশাস্ত্র ও হিন্দুধর্মে বিপত্তারিণী পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের সোজা রথ থেকে উল্টো রথের মাঝখানে যে মঙ্গলবার, শনিবার পড়ে, তখনই কিন্তু বিপত্তারিণী পুজো হয় অর্থাৎ তৃতীয়া থেকে নবমীর তিথির মধ্যে বিপত্তারিণী পুজো হয়।
এ বছর ৯ জুলাই, মঙ্গলবার পালিত হবে বিপত্তারিণী পুজো। এই দিনটি অত্যন্ত বিশেষ। বাংলা মাস অনুযায়ী ১৪৩১ সালের ২৪ আষাঢ়, মঙ্গলবার বিপত্তারিণী পুজো পালন করবেন সকলে।
বিপত্তারিণী ব্রতর দ্বিতীয় দিন পরেছে ১৩ জুলাই, শনিবার। বাংলা মাস অনুযায়ী ১৪৩১ সনের ২৮ আষাঢ়, শনিবার। এই বিপত্তারিণী পুজোর সময় সব কাজ করা যায় না। আবার এমন অনেক কাজ রয়েছে তা করলে জীবনে সাফল্য লেগেই থাকে।
আসুন দেখে নিই কী কী করবেন?
১. লাল সুতো বাঁধবেন বিপত্তারিণী পুজোর সময় দেবীর পুজো করে লাল সুতো হাতে বাঁধলে দেবীর ভক্তরা সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন।.
২. এদিন দেবীকে ১৩ রকমের ফল, ১৩ রকমের মিষ্টি, ১৩ রকমের ফুল নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যে মহিলারা এই ব্রত রাখেন তাঁদেরও কিন্তু ১৩ রকমের খাবার খেতে হয়।
৩. দেবীকে উৎসর্গ করা লাল সুতো পুজো হয়ে গেলে হাতে বাঁধার নিয়ম রয়েছে।
কী করবেন না?
১. পুজোর আগের দিন ও পুজোর দিন কখনও আমিষ খাবেন না।
২. এদিন চালের জিনিসও খাবেন না। এটি খাওয়া খুব অশুভ। এটি খেলে দেবী রেগে যান। দেখবেন আপনার পরিবারেও সেদিন কেউ আমিষ না খান।
৩. স্নান সেরে দেবীর পুজো করবেন এই সময় অবশ্যই সকালবেলা স্নান সেরে দেবীর পুজো করা উচিত। না হলে পরিবারের সুখ শান্তি বজায় থাকবে না। সেই সঙ্গে জীবনে নানান অশান্তি লেগে থাকবে।
৪. কাউকে অসম্মান বা অপমান করবেন না।
৫. পুজো করার সময় কারও সঙ্গে কথা বলবেন না।
৬. বড়দের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। এই সময় বড়দের সম্মান করবেন। কাউকে অসম্মান করবেন না।
৭. এই সময়ে কাউকে ঋণ দেবেন না। কারও থেকে টাকা ধার করবেন না।