Durgapuja 2024 Baneshwar Shiv Mandir: উত্তরবঙ্গে মালদা ছাড়া এমন ঐতিহ্য-স্থাপত্য আর দ্বিতীয়টি নেই। কোচবিহারের রাজবাড়ি বা কোচবিহার প্যালেস দেখতে তো দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। তবে শুধু শহরই নয়, এই শহরের আনাচে কানাচে এবং লাগোয়া এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা ইতিহাসও। কোচবিহার জেলার এমনই একটি প্রাচীন মন্দির ও তার পুজোর কথা বলব।
রাজ-আমলের অনেক মন্দির ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কোচবিহার জেলা-জুড়ে। মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম কয়েক শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক মন্দির ‘বাণেশ্বর শিব মন্দির’। এটি মূলত শিবমন্দির। কিন্তু এই মন্দিরে মহাদেবের সঙ্গে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সঠিক সময় আজও জানা যায়নি। তাই মন্দিরের প্রতিষ্ঠার নিয়ে নানা মিথ প্রচলিত আছে।
কোচবিহারের একটা বড় অংশের মানুষ মনে করেন কোচ রাজবংশের মহারাজা প্রাণনারায়ণ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার অপর পক্ষের মত প্রাণনারায়ণ সংষ্কার করেছিলেন। তাঁর শাসনকাল হিসেব করলে বর্তমানে মন্দিরটি প্রায় ৪০০- ৪৫০ বছরের পুরনো বলে মনে করা হয়। মন্দিরের পুরোহিত অচিন্ত্য ঠাকুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটি শিব মন্দির। তবে ভগবান শিবের পাশাপাশি এই মন্দিরে দেবী দুর্গার পুজোও হয়ে আসছে রাজ আমল থেকে। কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা নর নারায়ণের স্বপ্নে পাওয়া দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয় এখানে। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত দেবী দুর্গার পুজো হয়ে আসছে কোচবিহার বাণেশ্বর শিব মন্দিরে।
এখানে দুর্গাপুজোর রীতি আলাদা
জানা গিয়েছে, এখানে দেবী দুর্গার মূর্তির পাশে তাঁর সন্তানেরা থাকেন না। থাকেন দেবীর দুই সখী জয়া আর বিজয়া। এখানে দেবীর বাহন হিসাবে রয়েছে একটি সাদা সিংহ এবং একটি বাঘ। লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ থাকেন না এখানে।
কীভাবে যাবেন?
এই বাণেশ্বর শিব মন্দির কোচবিহার থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে আলিপুরদুয়ার থেকে বামনহাট পর্যন্ত রেললাইনের মাঝের বানেশ্বর রেলস্টেশনের কাছে অবস্থিত। নিউ বাণেশ্বর রেল স্টেশনের থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১.৬ কিলোমিটার। বানেশ্বর মন্দিরের প্রধান দালান থেকে ১০ ফুট নীচে, মন্দিররের গর্ভগৃহে রয়েছে শিবলিঙ্গ এবং একটি 'গৌরিপাট' রয়েছে।