হিন্দু ধর্মে হোলি উৎসবকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রঙের উৎসবকে সনাতন ধর্মে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আপনি যদি গার্হস্থ্য বা আর্থিক জীবনে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে রঙের উৎসবের আগে বাড়িতে আনুন কয়েকটি শুভ জিনিস। জানুন কোন পাঁচটি শুভ জিনিস বাড়িতে আনলে, আপনার টাকা- পয়সা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে।
ধাতব কচ্ছপ- বাস্তুশাস্ত্রে কচ্ছপকে শুভর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হোলির শুভ সময় উপলক্ষ্যে, আপনি পাঁচ ধাতু দিয়ে তৈরি একটি কচ্ছপ বাড়িতে আনতে পারেন। এই কচ্ছপের পিঠে শ্রীযন্ত্র ও কুবের যন্ত্র থাকতে হবে। যে বাড়িতে ধাতব কচ্ছপ উত্তর দিকে মুখ করে রাখা হয়, সেখানে কখনও অর্থের অভাব হয় না। কচ্ছপকে জলযুক্ত পাত্রে রাখতে হবে।
পিরামিড- বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পিরামিডের সম্পদ আকর্ষণ করার আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে। যে বাড়িতে বা অফিসে পিরামিড থাকে, সেখানে অগাধ সম্পদ অর্জনের পথ নিজে থেকেই খুলে যায়। অনেক পুরনো মন্দির, যেগুলি দ্রাবিড় শৈলীতে নির্মিত, সেগুলির বাহ্যিক রূপ পিরামিডের আকারে তৈরি। এই ধরনের অনেক মন্দির বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের মধ্যে গণনা করা হয়।
আম বা অশোক পাতা - হোলিতে, আপনার বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারের জন্য আম বা অশোক পাতা আনুন। হোলিকা দহনের দিন সকালে এই পাতার মালা করে লাগালে ভাল হয়। কথিত আছে যে, মূল প্রবেশদ্বারে আম বা অশোক পাতার পুজো করলে, ঘরে নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ রোধ হয়।
বাঁশের চারা- হোলির দিনে আপনি যদি ড্রয়িং রুম বা হলের জন্য একটি বাঁশের চারা নিয়ে আসেন, তাহলে খুব শুভ। তবে মনে রাখবেন যে, এতে কেবল সাত বা এগারোটি লাঠি থাকতে হবে। বাঁশ গাছকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করা হয়। এই গাছটি যে বাড়িতে থাকে সেখানে সর্বদা দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে। দীর্ঘায়ুর জন্য বাঁশের চারাও ঘরে রাখা হয়।
বাস্তুদেবের ছবি- যদি আপনি আপনার বাড়িতে বাস্তু দোষ সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে অবশ্যই বাড়িতে বাস্তু দেবতার ছবি লাগান। এই ছবি বাড়ির যে কোনও অংশে লাগাতে পারেন। বাড়িতে বাস্তু দেবতার উপস্থিতিতে সমস্ত বাস্তু দোষ নিশ্চিতভাবে দূর হবে।
দোল ও হোলির তারিখ
এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ২৫ মার্চ (বাংলায় ১০ চৈত্র)। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালিত হয়। এবছর হোলি উৎসব পড়েছে ২৬ মার্চ।
দোল পূর্ণিমার সময়
২৪ মার্চ ঘ ৯/৪২/১১ থেকে ২৫ মার্চ ঘ ১১/৪৭/২২ মিনিট পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।
হোলিকা দহন কখন?
হোলিকা দহন উৎসব হয় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। এবছর হোলিকা দহনের সবচেয়ে শুভ তিথি, ২৪ মার্চ রাত ১১:১৩ থেকে ১১:৫৩ পর্যন্ত।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)