Advertisement

Kalipuja 2024 Sevoke Kali Mandir: স্বপ্নাদেশে ছিল পঞ্চমুণ্ডির আসন, দার্জিলিঙের এই কালীমন্দিরের অজানা কাহিনি

Kalipuja 2024 Sevoke Kali Mandir: কালীপুজোর রাতেও ঘোর অমাবস্যায় তখন উপচে পড়া ভিড়। তিলধারণের জায়গা থাকে না। যে সেবক পাহাড় সূর্য ডুবলেই গা ছমছমে হয়ে যায়, সেখানে রাতভর থাকে ভক্তদের ভিড়। সকালে প্রসাদ নিয়ে তারপর মন্দির ছাড়েন ভক্তরা। এবারও তেমনই পুজো হবে। কোনও রকম খামতি নেই। শুধু একটা জিনিস আর কোনওদিন মিলবে না।

স্বপ্নাদেশে ছিল পঞ্চমুণ্ডির আসন, দার্জিলিঙের এই কালীমন্দিরের অজানা কাহিনি
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 28 Oct 2024,
  • अपडेटेड 11:22 AM IST
  • রহস্য, মিথ, কিংবদন্তী, সেবকেশ্বরীর পুঁজি
  • শহর ছেড়ে মানুষ সারা রাত পুজো দেখেন
  • ভক্তরাই এখানকার সম্পদ

Kalipuja 2023 Sevoke Kali Mandir: শিলিগুড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার। সেবকেশ্বরী কালীপুজোর নাম শুনলেই অনেকের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে এখনও। কার্তিকী অমাবস্যার রাতে গোটা দেশ যখন একাধারে আলোর রোশনাইয়ে মেতে থাকে, তখন সভ্য জগত থেকে খানিকটা আড়ালেই পাহাড়ি পাথরের খাঁজে মায়ের আরাধনায় বসেন সেবকেশ্বরী মায়ের সেবায়েত। গা ছমছমে আবহের সঙ্গে ঢাকের বাদ্যি মিলে একটা আলাদা অনুভূতির জন্ম দেয়। মন্দিরে মায়ের আরাধনা দেখেন তখন কয়েক হাজার লোক।

গত বছর থেকেই বন্ধ হয়েছে দীর্ঘ বছরের বলিপ্রথা। ভক্তদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেবক কালী মন্দির কমিটি। মন্দির কমিটির সহ সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশের পর বলিপ্রথা বন্ধের জন্য বারবার প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছিল। কিন্তু মানসিকভাবে অনেকেই তা মেনে নিতে পারছিলেন না। তবে সকলের সঙ্গে আলোচনার পর বলিপ্রথা বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ফল বলি হচ্ছে বলে জানান মন্দিরের পুরোহিত স্বপন ভাদুড়ি। তবে তাতে অবশ্য ভক্তদের উৎসাহে ঘাটতি হয়নি। মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর দিন এবং পরের দিন মিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪০টি পাঁঠা বলি হত। বছরের বাকি দিনগুলি মিলিয়ে সংখ্যাটা দেড়শোর কাছাকাছি। কালীপুজো ছাড়াও অমাবস্যা, পূর্ণিমার পাশাপাশি শনি ও মঙ্গলবার এখানে বলি হত।

কার্তিকী অমাবস্যার রাতে পাহাড়ি পথে বিপদসঙ্কুল চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মন্দিরে শহরের পুজোর চাকচিক্য, জৌলুস হেলায় ত্যাগ করে বহু ভক্ত হাজির হন সেবকে। রাত জেগে পুজো দেখেন। কালীপুজোর রাতেও ঘোর অমাবস্যায় তখন উপচে পড়া ভিড়। তিলধারণের জায়গা থাকে না। যে সেবক পাহাড় সূর্য ডুবলেই গা ছমছমে হয়ে যায়, সেখানে রাতভর থাকে ভক্তদের ভিড়। সকালে প্রসাদ নিয়ে তারপর মন্দির ছাড়েন ভক্তরা। এবারও তেমনই পুজো হবে। কোনও রকম খামতি নেই। শুধু একটা জিনিস আর কোনওদিন মিলবে না।

Advertisement

তবে পাঁঠা উৎসর্গ করা যাবে
তবে বলি বন্ধ হলেও মায়ের নামে পাঁঠা বা অন্য পশু উত্সর্গ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে মন্দির কমিটির তরফে। মানত করে বহু লোক পাঁঠা উৎসর্গ করেন। সংখ্যাটা বেড়ে চলে প্রতি বছরই। 

পুজোর ইতিহাস

মন্দিরে রয়েছে পঞ্চমুন্ডির আসন। সেই আসন স্বপ্নে-পাওয়া। নীরেন্দ্রনাথ সান্যাল নামে এক ব্যক্তি বহুদিন আগে স্বপ্ন দেখেন।স্বপ্ন দেখেই তিনি বর্তমান বেদির সামনে এসে দেখেন একটি বেদি করা আছে। তার সামনে একটি ত্রিশূল এবং জবাফুল তাছাড়া একটা বেলপাতা পড়ে রয়েছে। তা দেখবার পর মাকে সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন। এটা মোটামুটি ১৯৫০ সাল নাগাদ। তখন সে রাস্তা দিয়ে শুধু সেনাবাহিনীর গাড়ি যাতায়াত করতো। সেনা জওয়ানরা রাত্রির সীমান্ত পাহারা দিতে যাওয়ার সময় মাকে প্রণাম করে যেতেন সেনারা। তবে এখানে মাটির মূর্তি বসানোর আগে প্রথম মায়ের পুজো করে। তবে তার আগে কবে থেকে পুজো শুরু হয়েছে, তা কেউ জানে না।

মন্দির বারবার বদল হয়েছে

আনুমানিক ১৯৭২-এ আধুনিক মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। কয়েক বছরের মধ্যে মন্দিরটি তৈরি হয়। তবে তার আগে বহু প্রাচীন কাল থেকে ওই জায়গায় পুজো হতো বলে জানা গিয়েছে। তখন অবশ্য় মন্দির ছিল না। পাহাড়ের গায়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ওই মন্দির স্থাপন হয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement