শুরু হয়েছে উৎসবের মরসুম। আর হাতে গোনা দিন পরে বাঙালির সেরা পার্বণ দুর্গাপুজো। আবার এই পুজো শেষ হতে না হতেই শুরু হয় লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। মা লক্ষ্মী হলেন ধন- সম্পদের দেবী।
ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার। বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। ‘কোজাগরী’ কথাটির অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ হিন্দু পুরাণ মতে, আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী এসে ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে। এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে দেবীর আরাধনা করেন, তার ঘরেই প্রবেশ করেন দেবী লক্ষী। জানুন এবছরের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নির্ঘণ্ট।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো ২০২৩ -র দিনক্ষণ
আগামী ২৮ অক্টোবর (১০ কার্তিক), রবিবার পড়েছে এবছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। ২৭ অক্টোবর রাত ৩/৪০/৫৫ থেকে ২৮ অক্টোবর রাত ১/৫৫/১৪ অবধি থাকবে পূর্ণিমা তিথি।
বাঙালি হিন্দু ঘরে লক্ষ্মী পুজো এক চিরন্তন উৎসব। অনেকেই সারা বছর প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। খারিফ শস্য ও রবি শস্য যেই সময় হয়, ঠিক সেই সময় বাঙালি মেতে ওঠে লক্ষ্মীর পুজোয়। তবে পুজোর উপাচার পরিবর্তন হয় মাস ভেদে।