Ras Utsav 2024 Coahbehar: দুর্গাপুজো-কালীপুজো পর কোচবিহারবাসী এখন মেতেছেন রাসের প্রস্তুতিতে। কার্তিক পূর্ণিমায় উদযাপিত হয় রাস উৎসব। তাতে মেতে ওঠে গোটা কোচবিহার। শহরের প্রাচীন বৈরাগীদিঘির পাড়ে মদনমোহনবাড়িতে রাজ আমল থেকেই চলে আসছে রাস উৎসব। এই উৎসব পরিচালনা করে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড। উৎসবকে কেন্দ্র করেই ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা হয়। যেটি বর্তমানে কোচবিহার পুরসভা আয়োজন করে।
রাসমেলা মাঠে হওয়া এই মেলা উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ একটি মেলা। ১৫ নভেম্বর রাত আটটায় দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি পদাধিকারবলে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা রাসচক্র ঘুরিয়ে এবারের রাস উৎসবের সূচনা করবেন।আগে রাচচক্র ঘোরানোর সম্মান পেতেন কোচবিহারে রাজা। উদ্বোধনের পর অবশ্য় ভক্তরাও রাসচক্র ঘোরানোর সুযোগ পাবেন। ঘটনাচক্রে বংশপরম্পরায় এই রাসচক্র তৈরি করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের আলতাফ মিয়াঁ। গত দু’বছর আলতাফের তত্ত্বাবধানে তাঁর ছেলে আমিনুর হোসেন এটি বানাচ্ছেন।
সারা বছর নানা অনুষ্ঠান-উৎসব থাকলেও কোচবিহারের মানুষ এখনও সারা বছর রাসযাত্রার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। ১৫ দিন ধরে রাস উৎসব চলে। এই কয়েকদিন মদনমোহনবাড়ির ভিতরে সাংস্কৃতিক মঞ্চে বিভিন্ন উৎসব হবে। রাজ আমলেও এই উৎসব হত। যাত্রা, কীর্তন, ভাগবত পাঠ, ভাওয়াইয়া গান, বাউল গান সহ নানা লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি কলকাতা থেকেও যাত্রার দল আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের বাজেট করা অর্থের মধ্যেই এই খরচগুলি করা হবে।
প্রতি বছর রাস উৎসবে একদিকে যেমন বোর্ডের খরচ হয়, তেমনই ভক্তদের দেওয়া প্রণামি, স্টল থেকে বিভিন্ন ছবি, বই বিক্রি করে বোর্ডের রোজগারও হয়। এবার রাস উৎসবের বাজেটও বাড়ল ৩৬ হাজার টাকা। ১৫ নভেম্বর থেকে দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের উদ্যোগে কোচবিহারের রাস উৎসব শুরু হবে। এ বছরের বাজেটও বাড়ানো হয়েছে। রাস উৎসবের খরচ তুলতে রাজ্য পর্যটন দফতরের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্পনসরশিপের জন্য।