আজ অর্থাৎ ২৬ মে, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে। চন্দ্রের পূর্ণগ্রহণ দেখা যাচ্ছে আজ। তার সঙ্গে আরও একটি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা যাবে এদিন।
বুধবার একটি নয়, তিনটি মহাজাগতিক ঘটনার সংমিশ্রণ দেখা যাবে। কারণ এদিন চন্দ্রগ্রহণের সময়ে 'সুপার মুন', 'ব্লাড মুন' এবং 'ফ্লাওয়ার মুন' একসঙ্গে প্রত্যক্ষ করবেন বিশ্ববাসী । এদিন বছরের সবচেয়ে বড় 'ব্লাড মুন' দেখা যাবে।
ফ্লাওয়ার মুন (Flower Moon ) কী?
পূর্ণ চাঁদ, যা উচ্চতর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোর পৃষ্ঠকে আঘাত করে আলোকিত হয়, সেটি ফ্লাওয়ার মুন নামে পরিচিত। এই শব্দটি আমেরিকার উপজাতির ব্যবহার করেন যখন বছরের এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে বসন্তের ফুল দেখা যায়।
সুপারমুন কী?
চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসে, তখন দেখতে প্রায় ১২ শতাংশ বড় লাগে। সাধারণত পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ৪ লক্ষ ১০ হাজার কিলোমিটারের আশপাশে থাকে। কিন্তু সুপারমুনের ক্ষেত্রে এই দূরত্ব কমে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটারে চলে আসে। সে জন্যই একে সুপারমুন বলা হয়।
নাসার মতে, "২০২১ সালের অন্যান্য পূর্ণ চাঁদের তুলনায়, ফ্লাওয়ার মুন পৃথিবীর নিকটতম অবস্থান লাভ করবে, এটি এ বছরের সবচেয়ে নিকটতম এবং বৃহত্তম পূর্ণিমা হিসাবে প্রদর্শিত হবে। আকাশে দেখা এই বড় চাঁদকে সুপার মুন বলা হয়।"
ব্লাড মুন কী?
গ্রহণের সময় চাঁদে গাঢ় লাল রঙ হবে, যাকে 'ব্লাড মুন' (Blood Moon) বলা হয়। বহু বছরে মাত্র একবারই এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।
চন্দ্রগ্রহণ কী?
প্রদক্ষিণ করার সময় সূর্য এবং চাঁদের মাঝে যখন পৃথিবী চলে আসে, তখন তার ছায়া গিয়ে পড়ে চাঁদের উপর। সে কারণে চন্দ্রগ্রহণ হয়। অনেক সময় সেই ছাড়া আংশিক ভাবে চাঁদের উপর পড়ে, তখন হয় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। কখনও ছায়ায় পুরো ঢেকে যায় চাঁদ, তখন হয় চাঁদের পূর্ণ গ্রহণ।
বৈজ্ঞানিকরা এই বিশেষ ইভেন্টকে 'সুপার লুনার ইভেন্ট' বলছেন। কারণ সুপার মুন, চন্দ্রগ্রহণ এবং সেই সঙ্গে লাল রঙের চাঁদও দেখা যাবে। এই তিন মহাজাগতিক ঘটনার সংস্পর্শে বিশেষ মাত্রা পেতে চলেছে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণে।
চাঁদ পৃথিবার চারদিকে ডিম্বাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। কক্ষের মাঝামাঝি চলে এলে চাঁদের দূরত্ব কমে যায়। তখন চাঁদ বড় দেখায়।
গাঢ় লাল রঙের চাঁদ কেন দেখা যায়?
চাঁদ যখন পৃথিবীর ছায়ায় পুরোপুরি ঢেকে যায় তখন সূর্যের সাত রঙে থাকা লাল রঙের তরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৌঁছে যায় চাঁদে। তাই পূর্ণ গ্রহণের সময় অনেক বারই চাঁদকে গাঢ় লাল রঙের দেখতে লাগে। রায়ুমণ্ডলের কারণেই খানিকটা সরলরেখা পরবর্তন করে লাল রশ্মি গিয়ে লাগে চাঁদের গায়ে। সে কারণেই এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।