দুর্গাপুজোয় এখানে মায়ের সঙ্গে আসেন দেবীর সখী-সহচরী জয়া-বিজয়া। মায়ের সঙ্গেই জয়া-বিজয়ার মূর্তি তৈরি করে পুজো করা হয় দেবী দুর্গার।
একসময়ে লক্ষ্মী-সরস্বতীর সঙ্গে দুর্গা পুজোর প্রচলন ছিল না। আগে জয়া-বিজয়াকে মায়ের সখী হিসেবে পুজো করা হত। বলা হয়ে থাকে রাজা বংশীনারায়ণ তিনিই দেবী সরস্বতী-লক্ষ্মীর পুজো শুরু করেন।
আবার জয়া-বিজয়াকে বলা হয় লক্ষ্মী-সরস্বতীর আরেক রূপ। মা জগদ্ধাত্রীর সঙ্গেও থাকেন জয়া-বিজয়া। আনোয়ার শাহ রোডের রুদ্রাণী পীঠ আশ্রমে এখনও দুর্গাপুজোয় মায়ের সঙ্গে পূজিত হন জয়া-বিজয়া।
এখানে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীর পুজো হলেও মূর্তি গড়া হয় না। মায়ের দু'পাশে থাকেন জয়া-বিজয়া।
প্রাচীন কিছু পুজোয় লক্ষ্মী, সরস্বতীর বাহন থাকে না। এখানে জয়া-বিজয়ারও কোনও বাহন নেই।
জয়া হন গৌর বর্ণা, বিজয়া শ্যামবর্ণা।
শ্রী শ্রী রুদ্রাণী পীঠ এর সঙ্ঘাধ্যক্ষ শ্রীমহাকালেশ্বরানন্দনাথের বক্তব্য, সব দুর্গাপুজোতেই পূজিত হন জয়া-বিজয়া। তাঁদের মূর্তি না থাকলেও পুজো করা হয়।
এখানে মায়ের সাজ পোশাক এখনও বাংলার সপ্তদশ শতকের আচার মেনেই তৈরি হয়। মাকে সাজানো হয় সোনার গহনায়।
দক্ষিণ কলকাতার বুকে জয়া-বিজয়া সহিত মায়ের পুজো দেখলে তাক লেগে যাবে।
মায়ের এই অপরূপ রূপ, শিল্পীর নিপুণ হাতের কাজ মুগ্ধ করবে।