প্রতিবারের মত এবারেও দেব সেনাপতি কার্তিকের আরাধনায় মেতে উঠলেন হুগলির বাঁশবেড়িয়াবাসী। তবে করোনা আতঙ্কে এবারের ছবিটা অনেকটাই ভিন্ন।
কোভিড ১৯ এর কারণে এবার বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোর ধুমধাম প্রায় নেই বললেই চলে। চাকচিক্য অনেকটাই কমেছে বিগ বাজেটের পুজোগুলির।
অন্যান্যবার বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে একাধিক পুজো কমিটির বড় মণ্ডপ দেখা যায়। তবে এবার বড় মণ্ডপের সংখ্যা কার্যত হাতে গোনা।
বাঁশবেড়িয়ায় কার্তিক ঠাকুরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিমা দেখা যায়। কোথাও কার্তিক যোদ্ধা রূপে, কোথাও আবার জামাই রূপে। কোথাও আবার তিনি ষড়াণন।
পুজোর বাজেট কমেছে। জৌলুস কমেছে। কিন্তু পুজো ঘিরে আবেগ ও নিষ্ঠা রয়েছে একইরকম।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে শুধু যে পুজোর বাজেট বা চাকচিক্য কমেছে এমন নয়, কমেছে ভিড়ও। অন্যবারের চেয়ে এবার অনেকটাই কম জন সমাগম।
বাঁশবেড়িয়ায় কার্তিক পুজোর আরও একটি বৈশিষ্ঠ, এখানে দেব সেনাপতির পুজোর পাশাপাশি আরাধান করা হয় অন্যান্য দেবদেবীরও। যেমন এই ছবিতে দেধা যাচ্ছে নটরাজরূপী মহাদেবকে।
দেব সেনাপতি কার্তিকের পিতা দেবাদিদেব মহাদেব এবং ভাই সিদ্ধিদাতা গণেশেরও পুজো হয় বাঁশবেড়িয়ায়।
কার্তিক পুজো উপলক্ষে ত্রিনাথ অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু মহেশ্বরের পুজোও হয় এখানে। সঙ্গে পুজো হয় নারায়ণ ও রাধাকৃষ্ণের।
এছাড়া কার্তিক পুজোয় মাতৃশক্তির আরাধনাও হয় বাঁশবেড়িয়ায়। পুজো হয় মা বৈষ্ণদেবী, সন্তোষী এমনকি ভারত মাতারও।
করোনা পরিস্থিতিতে পুজোকে ঘিরে যাতে সংক্রমণ কোনও ভাবেই বৃদ্ধি না পায় তা নিশ্চিত করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। প্রত্যেকে কোভিড ১৯ বিধি মেনে চলছেন কি না সেদিকেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
কার্তিক পুজোকে ঘিরে চিরপরিচিত আনন্দ এই বছর অধরা রয়ে গেল বাঁশবেড়িয়াবাসীর। আসছে বছর আবারও সব আগের মতো হবে বলেই আশা তাঁদের।