বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে বা অফিসে গাছ লাগালে সৌভাগ্যের সূচনা হয়। গাছ-গাছালি থেকে ইতিবাচক শক্তি উৎপন্ন হলে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে পজিটিভ শক্তির প্রভাবও বাড়ে।
বাঁশ গাছকে শুভ ও সৌভাগ্য আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ঘরে বাঁশের চারা লাগালে রোগ- বালাই দূর হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। তবে বাস্তু অনুসারে বাঁশের চারা সঠিক জায়গায় না লাগালে, অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জানুন, বাঁশ ও গাছপালা সম্পর্কিত বিশেষ কিছু বিষয়।
বাঁশ গাছ বায়ু পরিশোধক হিসেবেও কাজ করে। বাঁশ গাছ দূষণ কমাতে সহায়ক। দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বেড়ে ওঠা বাঁশ গাছের যত্ন নেওয়া সহজ।
ঘরে বাঁশের চারা লাগালে জানালার কাছে বা সূর্যের আলো সরাসরি আসে এমন জায়গায় রাখবেন না। এটি গাছের ক্ষতি করবে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে বাড়ির আর্থিক অবস্থার ওপরও।
পূর্ব দিকে বাঁশ গাছ লাগানো উত্তম বলে মনে করা হয়। এই দিকে বাঁশ গাছ লাগালে ঘরে শান্তি বজায় থাকে। সেই সঙ্গে টাকাও আসে।
অফিসে লাগানো বাঁশ গাছের জল এক সপ্তাহের মধ্যে বদলে ফেলুন। এতে আর্থিক অবস্থা মজবুত হয়।
অফিসে বাঁশের চারা লাগালে পরিবেশ বিশুদ্ধ থাকে। এছাড়াও, এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে।
পড়াশোনা, সৃজনশীলতা এবং লেখালেখিতে অগ্রগতির জন্য চাইনিজ ব্যাম্বু ব্যবহার করা শুভ বলে মনে করা হয়।
বেডরুমেও বাঁশের গাছ অর্থাৎ চাইনিজ ব্যাম্বু রাখা যেতে পারে। স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে ভালোবাসা বাড়াতে এটি একটি দারুণ উদ্ভিদ।
কর্মজীবনে নিরন্তর চেষ্টা করেও সফলতা না পেলে স্টাডি রুমে চারটি ছোট বাঁশের চারা রোপণ করুন।