হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে আশ্বিন মাস বছরের সপ্তম মাস। অন্যদিকে বাঙালি রীতি অনুযায়ী আশ্বিন বছরের ষষ্ঠ মাস। দুই ক্ষেত্রেই এ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কারণ এ মাসে সূর্য ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। শনির শক্তি ও প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ভাদ্রমাসের মতোই এ মাসেও শুভ কাজ করাতে বাধা আছে। তবে বেশ কিছু পুজো এ মাসে হয়। আসুন জেনে নিই কী কী করা যায় আর কী কী করা যায় না।
আরও পড়ুনঃ Shanidev 7 Lucky Signs: শনিদেবের কৃপায় আসছে সুসময়, বুঝবেন এই ৭ লক্ষণে
এ মাসে কোন কোন দেবী-দেবতাদের উপাসনা করা হয়?
এ মাসটিকে ধর্মীয় মতে দু'ভাগে ভাগ করা হয়। দেবীপক্ষ এবং পিতৃপক্ষ।
কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। অন্যদিকে শুক্লপক্ষকে দেবীপক্ষ বলা হয়।
পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। শুক্লপক্ষের নবরাত্রি তথা দুর্গাপুজা পালন করা হয়। একে শারদীয়া নবরাত্রি বা দুর্গাপুজাও বলে। এটি শক্তি প্রাপ্ত করার নবরাত্রি।
এভাবে এ মাসে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ এবং দেবীর কৃপা দুই-ই পাওয়া যায়।
আশ্বিন মাসে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১. এ মাসে দুধ খাওয়া চলবে না।
২. যতদূর সম্ভব করলা বা উচ্ছেও না খাওয়া ভালো।
৩. এ মাসে শরীর ঢেকে রাখতে হবে। রোদে ঘোরা বারণ।
৪. এ মাসে হালকা উষ্ণ জলে স্নান করতে হবে।
৫. ত্বক এবং সংক্রমণজনিত রোগ থেকে বাঁচার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ Skin Glow At Home: এই ফেসপ্যাক রাতে মুখে লাগান, সকালে গ্ল্যামার ফেটে পড়বে
আশ্বিন মাসে কীভাবে পূজা উপাসনা করতে হবে?
১. এ মাসেও সূর্য উপাসনা অত্যন্ত লাভদায়ক।
২. এ ছাড়া কৃষ্ণপক্ষের পূর্বপুরুষের উপাসনা করুন। তাঁদের জন্য দান করুন। তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করুন।
৩. শুক্লপক্ষে দেবীর উপাসনা করুন। সপ্তশতি পাঠ করলে খুব ভাল লাভ হয়। এই গোটা মাসে গাছ লাগানো অত্যন্ত শুভ ফলদায়ক হয়।