Chanakya Niti for Women: আজকের অতি আধুনিক বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন চাণক্য নীতি এবং তাতে লেখা প্রতিটি শব্দ পড়েন এবং তাদের জীবনে তা বাস্তবায়ন করেন। চাণক্যের লেখা শব্দগুলি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, আজও অনেক রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা উদ্ধৃতিগুলিকে আধুনিক জীবনে শিক্ষণীয় বলে মনে করেন।
রাজনীতি, ব্যবসা, অর্থ বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে আচার্য চাণক্যের সঠিক জ্ঞান ছিল যে আজও মানুষ তার পরামর্শকে মূল্যবান, সঠিক এবং শিক্ষণীয় বলে মনে করে।
নৈতিকতা আচার্য চাণক্যের জ্ঞান। চাণক্য নীতি আপনাকে জীবনে যেকোনও কিছু অর্জন করতে সাহায্য করে, আপনি যে ক্ষেত্রেই থাকুন না কেন। এতে নীতিশাস্ত্রে আচার্য চাণক্য নারীর আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন। যে ব্যক্তি চাণক্য নীতি সম্পূর্ণভাবে পড়ে এবং সফলতা থেকে তা অনুসরণ করে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।
আচার্য চাণক্যের গ্রন্থে নারীর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন-
- মহিলারা যারা বাড়িতে একা থাকেন তারা নিজেদের পুরুষের সমান বলে মনে করেন। কারণ, সমস্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেন।
- আচার্য চাণক্য নারীর পাঁচটি গুণ বর্ণনা করেছেন: ক্ষুধা, লজ্জা, অর্থ, সাহস এবং বাসনা। আচার্য চাণক্য বলেন, নারীরা পুরুষের তুলনায় দ্বিগুণ খিদে পায়। আজকের কর্মময় জীবনযাত্রায় নারীদের খাদ্যাভ্যাস ব্যাহত হলেও তারা তাদের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারেন। কারণ, পুরুষদের থেকে অধিক সহ্যক্ষমতা থাকে।
- চাণক্য নীতি অনুসারে নারীর লজ্জা পুরুষের তুলনায় চারগুণ বেশি। কথা বলার আগে মহিলারা প্রায়শই বিব্রত অবস্থায় পড়েন।
- নারীরা খুব সাহসী, পুরুষের তুলনায় ছয়গুণ বেশি। তাই নারীকে শক্তির মূর্ত প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
- পুরুষদের তুলনায় নারীদের কামশক্তি বেশি। কিন্তু চাণক্য বলেছেন যে নারীদেরও লজ্জা ও সহনশীলতা বেশি। এই কারণেই কোনও মহিলা এটি প্রকাশ করেন না, কারণ মহিলারা তাদের পারিবারিক অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন, তাই তারা চুপ থাকতে পছন্দ করে।