Advertisement

Chaturmas 2021: হাতে গোনা দিন পরে শুরু 'চতুর্মাস'! কেন বন্ধ থাকে শুভ কাজ? জানুন...

চতুর্মাস (Chaturmas) চলাকালীন ভক্তি, তপস্যা, পবিত্র স্নান, ত্যাগ এবং দান করার উপযুক্ত সময়। তবে এই সময়কালে বিবাহ ও মাঙ্গলিক আচার পালন অশুভ বলে বিবেচিত হয়। জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মেও চতুর্মাসের তাৎপর্য রয়েছে।

চতুর্মাস ২০২১চতুর্মাস ২০২১
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 13 Jul 2021,
  • अपडेटेड 4:51 PM IST
  • সনাতন ধর্মে চতুর্মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
  • শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিকের কিছুদিন চতুর্মাস থাকে।
  • জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মেও চতুর্মাসের তাৎপর্য রয়েছে।

সনাতন ধর্মে (Hinduism) চতুর্মাস (Chaturmas) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী থেকে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি পর্যন্ত চলে চতুর্মাস। এই বছরে চতুর্মাস শুরু হবে ২০ জুলাই দেবশায়নী একাদশী (Devshayani Ekadashi) থেকে। অর্থাৎ শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিকের কিছুদিন চতুর্মাস থাকে। এই সময় ভক্তি, তপস্যা, পবিত্র স্নান, ত্যাগ এবং দান করার উপযুক্ত সময়। তবে এই সময়কালে বিবাহ ও মাঙ্গলিক আচার পালন অশুভ বলে বিবেচিত হয়। জৈন (Jainism) ও বৌদ্ধ ধর্মেও (Buddhism) চতুর্মাসের তাৎপর্য রয়েছে।

চতুর্মাস ২০২১ তারিখ (Chaturmas 2021 Date)

২০ জুলাই (৩ শ্রাবণ) দেবশায়নী একাদশী থেকে ১৪ নভেম্বর (২৭ কার্তিক) দেবোত্থনী একাদশীতে পর্যন্ত, চার মাস থাকবে এই বছরের চতুর্মাস।

আরও পড়ুন

হিন্দু ধর্ম অনুসারে দেবশায়নী একাদশীর দিন থেকে যোগ নিদ্রা যান শ্রী বিষ্ণু (Lord Vishnu)। এর চার মাস পর দেবোত্থনী একাদশীর দিন তাঁর ঘুম ভাঙে। এই চার মাস বিষ্ণু নিদ্রায় থাকার জন্য ধরণী ও সংসার রক্ষার দায়িত্ব ভার থাকে দেবাদিদেব মহাদেবের উপর। এর সঙ্গেও জড়িয়ে আছে নানা পুরাণের কাহিনী। 

একটা মত অনুসারে মনে করা হয়, কয়েক হাজার বছর ধরে শঙ্খচূড়ের সঙ্গে যুদ্ধের পর ক্লান্ত হয়ে বিষ্ণু যোগনিদ্রায় যান  এই সময় । আবার শোনা যায়, দেবশায়নী একাদশীর দজায়, তিনি পাতাললোকের রাজা বালির গৃহে যাওয়ার আগে সব দায়িত্ব রুদ্রর হাতে সমর্পণ করে যান।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, যেহেতু চতুর্মাসে বিষ্ণু নিদ্রিত থাকেন, তাই কোনও শুভ অনুষ্ঠানে তিনি আশীর্বাদ করতে পারেন না। আর সেই জন্যেই এই সময়কালে বিয়ে, উপনয়ন ইত্যাদি একাধিক শুভ অনুষ্ঠান করার নিয়ম নেই। যদিও বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গী থেকে অনেকে মনে করেন, বর্ষাকালে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে নানা বাধা আসতে পারে সেই জন্যেই এই নিয়ম বেধে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই চার মাস নানা রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয়। যেমন গণেশ চতুর্থী, জন্মাষ্টমী, বিশ্বকর্মা পুজো, মহালয়া, দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, দশহরা, লক্ষ্মী পুজো, কালী পুজোর উত্‍সব এই সময়কালে পালন করা হয়।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement