ভাগ্য ভাল হলে জীবন বদলে যায়। আর ভাগ্য নড়বড়ে হলে জীবনে নানা প্রতিবন্ধকতা আসে। কার কপালে কী রয়েছে, তা জানার জন্য অনেকেই জ্যোতিষীর কাছে যান। কেউ হাত দেখান, কেউ আবার কুণ্ডলী গণনা করান। আবার জ্যোতিষীর কথা মতো বিভিন্ন রত্ন ধারণ করে থাকেন। তাই জ্যোতিষশাস্ত্র আমাদের জীবনের সঙ্গ অঙ্গপ্রত্যঙ্গভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
ভাগ্যগণনার জন্য অনেকেই হাত দেখান। হাতের রেখা দেখে কোনও ব্যক্তির ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়। তবে শুধু হাত নয়, পায়ের পাতা দেখেও কারও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়। শরীরের নানা অঙ্গের গঠন দেখে কোনও ব্যক্তির ভাগ্যে কী রয়েছে, তা আঁচ করা যেতে পারে। সমুদ্রশাস্ত্রে বেশ কয়েকটি অঙ্গ লক্ষ্মণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সমুদ্রশাস্ত্র মতে, পুরুষদের পায়ের পাতার গঠন দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়।
তা হলে জেনে নিন, পায়ের পাতা দেখে কী ভাবে বুঝবেন, কপালে কী রয়েছে...
* কোনও পুরুষের পায়ের ওপরের অংশ কচ্ছপের পিঠের মতো উঁচু এবং পায়ের আঙুল একে অপরের সঙ্গে মিলে থাকলে তা শুভ। এই পুরুষরা প্রচুর সম্পদের মালিক হন।
* সমুদ্রশাস্ত্র মতে, পুরুষের পায়ের পাতা কোমল, পরিষ্কার হলে বিত্তবান হতে পারে। পায়ে বেশি ঘাম হলে শুভ ফল পাওয়া যায় না।
* যেসব ব্যক্তির পায়ের অগ্রভাগ কুলোর মতো চওড়া, পায়ের দৈর্ঘ্য ছোট, তাঁরা আর্থিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।
এ বার জেনে নিন, হাতের রেখা অনুযায়ী, কার কপালে কী রয়েছে...
* কোনও রেখা মস্তিষ্ক রেখা থেকে বেরিয়ে যদি শনি পর্বত পর্যন্ত যায়, তা হলে বিয়ের পর ভাগ্য বদলে যায়। বিয়ের পর সম্পদ বাড়ে।
* ভাগ্য রেখা যদি মণিবন্ধ থেকে বেরিয়ে শনি পর্বত পর্যন্ত যায়, তা হলে সেই ব্যক্তি ধনী হন।
* শুক্র পর্বত থেকে বেরিয়ে শনি পর্বতে কোনও রেখা পৌঁছলে সেই ব্যক্তি বিয়ের পর সুখী হন।
* ভাগ্য রেখা, জীবন রেখা এবং মস্তিষ্ক রেখা মিলে ত্রিভূজের চিহ্ন তৈরি করলে জাতকরা বিয়ের পর হঠাৎ ধনলাভ করতে পারেন।
*বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের পাশ থেকে বেরিয়ে কোনও রেখা যদি বৃহস্পতি পর্যন্ত যায়, তা হলে এমন ব্যক্তি বিয়ের পর ধনলাভ করেন।
* যাঁদের হাতে দু-মুখো বিয়ের রেখা রয়েছে, তাঁরা সম্পর্কে বিশ্বাসী হন না। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারেন তাঁরা। একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর কারণে জীবনে অশান্তি হতে পারে।
* হস্তরেখা বিদ্যা অনুযায়ী, পুরুষদের ডান হাতে যদি বিয়ের রেখা থেকে আরও ২টি রেখা বেরোয়, তা হলে তাঁর দাম্পত্য জীবনে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমন রেখা থাকলে বিয়ে বেশিদিন টেকে না।
* যাঁদের হাতে বিয়ের রেখা থেকে আরও একটি রেখা বেরোয়, তাঁরা সাধারণত একাধিক বার বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণে আবার বিয়ে করেন। তবে এই জাতকদের দ্বিতীয় বিয়েও সুখের হয় না।