বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধ সর্বদা মানুষকে অহিংসা ও সহানুভূতির শিক্ষা দিয়েছেন। গৌতম বুদ্ধের অমূল্য চিন্তা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। এই কারণেই বুদ্ধের চিন্তাকে সুখী জীবনের সূত্র বলা হয়। গৌতম বুদ্ধ মানুষকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্য সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং তা হল 'দুঃখ'। প্রতিটি মানুষ সুখী এবং সমৃদ্ধ হতে চায়। কিন্তু গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, যেভাবে প্রকৃতি ও ঋতুর পরিবর্তন হয়, ঠিক একইভাবে মানুষের জীবনে সুখ-দুঃখ আসে-যায়। পৃথিবীতে যতই ধনী হোক না কেন, কিন্তু এমন কোনও মানুষ নেই যার জীবনে কোনও দুঃখ নেই। তবে এই জিনিসটি সর্বদা মনে রাখবেন জীবনে সুখ বা দুঃখ উভয়ই স্থায়ী নয়। আপনি যদি সুখী হন, তবে আপনি অবশ্যই এক না এক সময় দুঃখ অনুভব করবেন এবং আপনি যদি অসুখী হন, তবে একদিন আপনি অবশ্যই এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, দুঃখের কারণ যাই হোক না কেন, কিন্তু দুঃখের ধারক মানুষ নিজেই এবং মানুষেরও দুঃখ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রয়েছে। আপনি যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন তবে তা আপনার উপর কর্তৃত্ব করতে দেবেন না। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন নিজেকে ধৈর্য ধরে রাখুন। এটি অবশ্যই আপনাকে দুঃখ থেকে মুক্তি দেবে। গৌতম বুদ্ধের কাছ থেকে জেনে নিন কীভাবে জীবন থেকে দুঃখ দূর করা যায়।
এভাবেই দুঃখ দূর হবে
গৌতম বুদ্ধের মতে, প্রতিটি মানুষ ছোট বা বড় বিষয়ে দুঃখী। কিন্তু দু:খিত হওয়ার আগে, আপনাকে দুঃখের কারণ বুঝতে হবে। আপনি যদি না বুঝে দুঃখকে প্রাধান্য দিতে দেন, তবে আপনার ব্যথা আরও বাড়বে এবং জীবনকে দুঃখের পাহাড়ের মতো মনে হতে শুরু করবে। দুঃখ দূর করার মূল মন্ত্র হল, যতক্ষণ না আমরা নিজেদের সুখী রাখি ততক্ষণ দুঃখ আমাদের ছাড়বে না।
তীব্র কামনা দুঃখের কারণ
বুদ্ধের মতে দুঃখের সবচেয়ে বড় কারণ হল তৃষ্ণা। কোনও কিছুর প্রতি প্রবল আকাঙ্ক্ষা বা অসন্তুষ্টি দুঃখের কারণ। তাই একজন ব্যক্তির তাঁর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিছু চাওয়া উচিত নয় এবং কারও কাছ থেকে তাঁর বেশি আশা করা উচিত নয়। আপনি যদি আপনার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখেন তবে দুঃখ আপনা থেকেই চলে যাবে।
এভাবেই দূর হবে দুঃখ
গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, জীবনে দুঃখ থাকলে সুখও আছে। যেমন আজকের দিনটি খারাপ হলে আগামীকাল অবশ্যই ভাল যাবে। পৃথিবীতে এমন কোনও সমস্যা নেই, যার সমাধান নেই। এসব বুঝতে পারলে ও দুঃখ অবশ্যই দূর করা যায়।