ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোটা বিশ্বকে প্রেম ও কর্মের পাঠ শিখিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতা রচনা করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয় যে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শরীরে কিছু বিশেষ চিহ্ন ছিল, যেগুলিকে অত্যন্ত শুভ। এই ধরনের চিহ্ন যদি কারও শরীরে থাকে, তবে তিনি অবশ্যই বিশ্বের সবচেয়ে সুখী, সুস্থ এবং সমৃদ্ধ ব্যক্তি হতে পারেন।
* অর্ধ চন্দ্র
কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের পায়ের তলায় অর্ধচন্দ্রের চিহ্ন ছিল। এই অর্ধচন্দ্র ভগবান শিবের মাথায়ও সজ্জিত। যাদের শরীরে এই অর্ধচন্দ্র থাকে, তারা কেরিয়ারের দিক থেকে উচ্চতা স্পর্শ করে।
* শঙ্খের চিহ্ন
শ্রীকৃষ্ণের পায়ের তলায় শঙ্খের মতো একটি চিহ্ন রয়েছে। ভগবান বিষ্ণুও এক হাতে একটি শঙ্খ ধারণ করেন, যার শব্দ অন্তরের আত্মা ও চেতনাকে জাগ্রত করে। শরীরে একটি শঙ্খের মতো চিহ্ন জীবনের সাফল্য, সুখ ও শান্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
* মাছের মতো চিহ্ন
শ্রীকৃষ্ণের হাতের তালুতে ও পায়ের পাতায় মাছের মতো চিহ্নও রয়েছে। হিন্দু ধর্মে মাছকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কথিত আছে যে, শরীরের এই চিহ্নটি প্রতিপত্তির প্রতীক।
* ত্রিভুজ চিহ্ন
একইভাবে, যদি কোনও ব্যক্তির পায়ে ত্রিভুজ চিহ্ন থাকে, তাহলে এই ধরনের লোকেরা জীবনে আকর্ষণীয় লোকদের সঙ্গে দেখা করে। শরীরে ত্রিভুজের এই চিহ্নের অর্থ হল সেই ব্যক্তি ভবিষ্যতে খুব ধনী হতে চলেছে। এই ধরনের লোকেরা একজন ভাল বক্তা এবং জীবনে অনেক উন্নতি করে।
* তীর চিহ্ন
পায়ে তীরের মতো চিহ্ন খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এ ধরনের মানুষ জীবনে অনেক সংগ্রাম করে জয়ী হয়। যদি এই চিহ্নগুলি শরীরের নীচের অংশে থাকে তবে এই জাতীয় ব্যক্তিরা দুর্দান্ত কৃতিত্ব অর্জন করেন।
* হাতে তিল
যদি কোনও ব্যক্তির হাতে তিল থাকে, তবে এমন ব্যক্তিকে সাধারণ হিসাবে বিবেচনা করতে ভুল করবেন না। এই ধরনের লোকেরা খুব পরিশ্রমী এবং নম্র প্রকৃতির হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনও খুব সুখের।
* বগলে তিল
যদি কোনও ব্যক্তির বাম হাতের পাশে তিল থাকে তবে, তারা জীবনে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু অনেক সংগ্রামের পর। এছাড়া ডান হাতের পাশে তিল বা আঁচিলের অর্থ হল সেই ব্যক্তিকে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
* কানে তিল
যাদের কানে তিল থাকে তারা খুব ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে, যাদের কানে তিল থাকে তারা জীবনের সব কিছুই বিনা সংগ্রামে পেয়ে যায়।