Guru Purnima 2022: আষাঢ় মাসের পূর্ণিমাকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা। শাস্ত্রে গুরুকে ঈশ্বরের চেয়েও উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাই এই দিনে গুরুর আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে।
এই দিনটি মহর্ষি বেদ ব্যাসকে উৎসর্গ করা হয়। এবং দেবগুরু বৃহস্পতিকেও এই দিন পুজো করা হয়। গুরু পূর্ণিমার কিছু বিশেষ নিয়মও রয়েছে। আজ গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে সেই সব ভুলের কথা জেনে রেখে দেওয়া যাক, যা গুরুর সামনে কখনই করা উচিত নয়।
সব সময় খেয়াল রাখা দরকার
১. শাস্ত্র অনুসারে, শিষ্যে কখনই গুরুর আসনে বসতে পারে না। গুরুর মর্যাদা ঈশ্বরের ওপরে। তাই গুরুর আসনে বসা শুধু গুরুর অপমান নয়, ঈশ্বরের অবমাননাও বটে।
২. কোনও কিছুর সাহায্যে গুরুর সামনে দাঁড়াবেন না। কখনই তাঁর মুখের দিকে পা রেখে বসবেন না।
৩. গুরুর সামনে কখনই গালিগালাজ করবেন না। রেগে গেলে প্রায়ই মুখ থেকে কিছু বেরিয়ে আসে। মনে রাখবেন, গুরুর মনকে আঘাত করে, এমন গালিগালাজ কখনই মুখে আনা উচিত নয়।
৪. গুরুর সামনে এসে সম্পদ এবং খ্যাতির ভয় দেখানো উচিত নয়। মনে রাখবেন, গুরুর ভাষণের প্রতিটি শব্দ আপনার সমস্ত সম্পদের ওপর ভারী। তাঁর জ্ঞান কখনো শোধ করা যাবে না।
৫. ভুলেও আমাদের কখনই অন্য কারও সামনে গুরুর ব্য়াপারে খারাপ কোনও কথা বলা উচিত নয়। এটি একটি মারাত্মক বিপর্যয়। যদি অন্য কেউ এই কাজ করে, তাহলে সংযত হয়ে তাঁদের থামানোর চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: রুশ স্পেস স্টেশন ভাঙার 'হাড় হিম' Video! ভারতে ভেঙে পড়তে পারে?
আপনার গুরু কে কে হতে পারেন?
সাধারণত, যিনি শিক্ষা দেন তাঁকেই আমরা গুরু বলে মনে করি। কিন্তু বাস্তবে যে শিক্ষক জ্ঞানদান করেন, তিনিই আংশিক অর্থে গুরু। গুরু হওয়ার সকল শর্তই বলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি শর্ত প্রধান।
সেগুলো হল- শান্ত, দন্তপ্রাণ, মহৎ, নম্র, শুদ্ধ-আত্মাসম্পন্ন, শুদ্ধ আচার-আচরণ, সু-সম্মানিত, গুণী, উপ-বুদ্ধিসম্পন্ন, আশ্রমী, ধ্যানশীল, ঋষি-মন্ত্র-মন্ত্র এবং নিগ্রহ-করুণাময়। গুরু লাভের পর তাঁর নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।
কীভাবে গুরুর পুজো করতে হয়?
গুরু পূর্ণিমার দিনে গুরুকে উচু আসনে বসান। জল দিয়ে তাঁর পা ধুয়ে দিন। তারপর তাঁর পায়ে হলুদ বা সাদা ফুল অর্পণ করুন। এর পরে তাঁদের সাদা বা হলুদ কাপড় দিন। তাঁদের ফল, মিষ্টি দক্ষিণা নিবেদন করুন। এবার গুরুর কাছে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রার্থনা করুন।