আর ক'দিন পরেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja 2022)। বিদ্যাদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবেন মানুষ। বিশেষত পড়ুয়া এবং শিল্পীরা নিজের নিজের মতো করে মনের প্রার্থনা তুলে ধরবেন বাগদেবীর কাছে। আর শুধু তাই নয়, এই দিন থেকেই লেখাপড়ার সূচনাও হবে কোনও কোনও শিশুরও। আর একটু খোলসা করে বললে বলতে হয় সরস্বতী পুজোর দিন অন্যতম প্রধান একটি অনুষ্ঠান হল হাতেখড়ি (Hatekhori), অর্থাৎ আজকের শিশু, যারা আগামিদিনের পড়ুয়া, তাদের প্রথম লেখার দিন। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই প্রথা।
সরস্বতী পুজোয় কেন দেওয়া হয় হাতেখড়ি?
সব বাবা-মায়েরাই চান, তাঁদের সন্তানের শিক্ষাজীবন এগিয়ে চলুক বিনা বাধায়। জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় যেন সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হতে পারে সে। সন্তানের শিক্ষায় কোনওরকম ত্রুটিও রাখতে চান না তাঁরা। আর সেকারণেই বেশিরভাগ বাবা-মায়েরই ইচ্ছা থাকে তাঁদের সন্তানের পড়াশোনার সূচনা হোক বিদ্যাদেবীর আরাধানার দিনেই। সেই জন্য বছর বছর এই দিনটিতে মায়ের সামনে শিশুদের হাতেখড়ির ব্যবস্থা করা হয়। বাবা-মায়েদের বিশ্বাস, যেহেতু মা সরস্বতী বিদ্যার দেবী, তাই তাঁর সামনে লেখাপড়ার সূচনা হলে মসৃণ হবে সন্তানের শিক্ষা ও কেরিয়ার।
সরস্বতী পুজোর দিন দেবীর সামনে নতুন স্লেট ও চকখড়িতে শিশুকে লেখা শুরু করান পুরোহিত মশাই। স্লেটে পুরোহিত মশাইয়ের হাত ধরে অ আ ক খ লেখার মধ্যে দিয়ে হাতেখড়ি হয় শিশুর। অনেকের মতে মানুষের জীবনে হাতেখড়িই হয় শিক্ষার প্রথম সিঁড়ি। বর্তমান যুগে অবশ্য বিভিন্ন ধরনের রাইটিং বোর্ডসহ লেখার নানা সামগ্রী বেড়িয়েছে। কিন্তু তারপরেও সরস্বতী পুজোয় স্লেট ও চকের মাধ্যমে হাতেখড়ির ঐতিহ্য আজও একইরকম।
আরও পড়ুন - বেলুড়ে স্বামীজির জন্মতিথি উদযাপন, কবে খুলছে মঠ?