সোমবার যেমন ভগবান শিবকে সমর্পণ করা হয়, তেমনি শনিবার হল বারের ঠাকুর শনি দেবের দিন। শনি দেবকে কর্মফলের দেবতা বলে মানা হয়ে থাকে। কারণ শনি দেব ব্যক্তির কর্মফল অনুযায়ী ফল প্রদান করেন। শনির রোষে পড়লে ব্যক্তির জীবন ছারখার হতে বেশি সময় লাগে না। তাই শনির রোষ থেকে বাঁচতে ও জন্মছকে শনি গ্রহকে মজবুত করতে শনিবার দিন নিষ্ঠা ও নিয়ম মেনে শনি দেবের পুজো করা উচিত।
মনে রাখতে হবে, শনি দেবের আরাধনা করলে সারাদিন উপোস করে থাকতে হয় এবং পড়তে হয় কালো রঙের পোশাক। বিশেষত শনিবার সন্ধ্যার দিকে অথবা রাতের দিকে এই দেবতার পুজো করা হয়। তবে পুজোর শেষে ভগবানের প্রসাদ বাড়িতে নিয়ে আসা যায় না, রাস্তায় দাঁড়িয়েই সেই প্রসাদ খেতে হয়। আবার অন্যান্য দেবতার প্রসাদ গ্রহণ করে, অনেকে মাথায় হাত দেন। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রসাদ খেয়ে তৎক্ষণাৎ জল দিয়ে হাত ধুতে হয়। মাথায় হাত মুছতে নেই। হাত ধুয়ে পরিষ্কার হাত মাথায় মোছা যেতে পারে।
অন্যান্য ঠাকুর দেবতার নাম মুখে আনার নিয়ম থাকলেও, শনি ঠাকুরের নাম মুখে আনতে নেই। সর্বদাই বড়বাবা, বড়ঠাকুর, গ্রহরাজ ইত্যাদি বলতে হয়। আবারও কখনই শনিদেবের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রণাম করতে নেই। এই কাজের ফলে শনিদেবের অশুভ প্রভাব এবং ক্রুর দৃষ্টি পড়তে পারে আপনার উপর। বিশ্বাস করা হয় শনি দেবের পুজো করার সময় যদি তিল তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো যায়, তাহলে প্রসন্ন হন দেবতা। ঠাকুরের আসনের দুই কোণায় একটা করে প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এছাড়াও শাস্ত্র মতে শনি দেবের পুজোর সময় তাঁর পুজোর পাশাপাশি গণেশ, হনুমান এবং শিব ঠাকুরের পুজো করা উচিত। এতে সুফল বেশি মেলে।
শাস্ত্র মতে এভাবে সবকটি নিয়ম সঠিক ভাবে পালন করে শনি দেবের পুজো করলে দূর হবে তাঁর বক্রদৃষ্টি। বরং কৃপা পাবেন শনি দেবের। আপনার জীবন ও সংসারে সমৃদ্ধি আসবে।