আসছে আলোর উৎসব, দীপাবলি। আঁধার দূর করে আলোকিত করা হয় চারপাশ। আর এই সময়ই শক্তির আরাধনা করা হয়। ঘটা করে পালন করা হয় কালীপুজো। কলকাতায় যে সব কালী মন্দির রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
গঙ্গার পাড়ে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর এই মন্দিরের মাহাত্ম্য অসীম। রোজ লাখ লাখ ভক্ত সমাগম হয় মন্দিরে। দক্ষিণ দিকে মুখ করে বিরাজমান মা ভবতারিণী। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের তাৎপর্য, গুরুত্ব অনেক। ভক্তকূলে এই মন্দিরকে নিয়ে নানা বিশ্বাস রয়েছে। নানা অলৌকিক কাহিনিও রয়েছে মন্দিরকে ঘিরে। রানি রাসমণির তৈরি করা এই মন্দিরে মা ভবতারিণী জাগ্রত বলে বিশ্বাস করা হয়।
মা ভবতারিণীর মন্দির ছাড়াও দক্ষিণেশ্বরে রয়েছে ১২টি শিব মন্দির। একদিকে ৬টি, আর অন্য দিকে ৬টি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এই ১২টি শিব মন্দিরেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
কেন ১২টি শিব মন্দির?
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেশে মোট ৬৪টি জ্যোতির্লিঙ্গের কথা শোনা যায়। তবে এই মুহূর্তে দেশে রয়েছে মোট ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ। যা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ নামেই পরিচিত। ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ হল সোমনাথ, মহাকাল, কেদারনাথ, ওঙ্কারেশ্বর, ভীমাশঙ্কর, নাগেশ্বর, বিশ্বনাথ, বৈদ্যনাথ, রামেশ্বরম, ঘৃষ্ণেশ্বর, ত্র্যম্বকেশ্বর এবং মল্লিকার্জুন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও রয়েছে এই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ। আর সেই কারণেই ১২টি শিব মন্দির। যা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের প্রতীকস্বরূপ।
১২টি শিবলঙ্গের নাম কী?
দক্ষিণেশ্বরে উত্তরদিকে যে ৬টি শিব মন্দির রয়েছে, সেগুলি হল যোগেশ্বর, রত্নেশ্বর, জটিলেশ্বর, নকুলেশ্বর, নাগেশ্বর এবং নির্ঝরেশ্বর। আর দক্ষিণ দিকে যে ৬টি শিবলিঙ্গ রয়েছে, সেগুলি হল যজ্ঞেশ্বর, জলেশ্বর, জগদীশ্বর, নাদেশ্বর, নন্দীশ্বর, নরেশ্বর।
এছাড়াও দক্ষিণেশ্বরে রয়েছে রাধাগোবিন্দের মন্দির। কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বরে বিশেষ আরাধনা করা হয়। কালীপুজোর দিন বহু ভক্ত সমাগম হয় এই তীর্থস্থানে।