বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। জগদ্ধাত্রী পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই চলে এল কার্তিক পুজো (Kartik Puja 2021)। আর কার্তিক পুজো মানে বঙ্গবাসীর প্রথমেই যে দুটি জায়গার নাম মনে পড়ে তা হল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ও হুগলির বাঁশবেড়িয়া। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে এবারও বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পুলিশ প্রশাসন।
কাটোয়া
দেব সেনাপতির আরাধনাকে ঘিরে কাটোয়ার কার্তিক লড়াইয়ের (Katwa Kartik Lorai) কথা আজ আর কারও কাছে অজানা নয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কাটোয়ার সেই কার্তিক লড়াইতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। কার্তিক পুজোর আগেই কাটোয়ার স্থানীয় ক্লাবগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসা হয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, পুজো করতে হবে সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে। প্যান্ডেলে মাস্ক পরে যেতে হবে দর্শনার্থীদের। রাখতে হবে স্যানটাইজার। হবে না কার্তিক লড়াই। এছাড়া নিরাপত্তার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে গোটা কাটোয়া শহরে নজরদারি চালাবে প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরা।
বাঁশবেড়িয়া
হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়াতেও খুব ঘটা করে কার্তিক পুজো (Bansberia Kartik Puja) হয়। আর শুধু কার্তিকই নয়, পাশাপাশি আরও দেবদেবীর পুজো হয় এখানে। তাছাড়া এখানকার শোভাযাত্রাও খুব বিখ্যাত, যা দেখতে ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ। যদিও করোনা আবহে গতবারের মতো এবারেও হবে না শোভাযাত্রা। ছোটবড় মিলিয়ে ১০০-র বেশি পুজো হয় বাঁশবেড়িয়ায়। প্রত্যেক পুজো কমিটিতে মাস্ক ও সেনিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিষয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সুপার আমানদীপ জানান, প্রতিবারের মতো এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা থাকছে। নিউ নর্মাল কোভিড পরিস্থিতিতে পুজো আয়োজিত হচ্ছে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তাতেও। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন দু'জন অ্যাডিশনাল এসপি, তিনজন ডিএসপি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল, লেডি কনস্টেবল, হোমগার্ড ও সিভিক ভল্যান্টিয়ার। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে পুলিশি নজরদারি ছাড়াও থাকছে সিসি ক্যামেরা। চলবে নাকা চেকিংও।
অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার তরফে দর্শনার্থীদের জন্য পানীয় জল, মাস্ক, স্যানিটাইজার বায়োটয়লেট, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানান বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত।