শুরু হয়েছে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। আর ঠিক তিন মাস পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। খুঁটি পুজোর মাধ্যমেই দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। কত কয়েক বছর ধরে জাকজমক করে খুঁটি পুজো উৎসব পালন করা একটা ট্রেন্ড। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা ঐতিহ্য।
প্রতি বছর রথযাত্রার দিন হয় বেশিরভাগ পুজো প্যান্ডেলের খুঁটি পুজো। যারা এদিন পুজো করতে পারেন না, তারা চেষ্টায় থাকেন পরের অন্যান্য শুভ দিনগুলিকে বেছে নিতে।
খুঁটি পুজোর ধারনাটি এসেছে প্রায় শত বছর পুরনো এক রীতি থেকে। পূর্বে এত ক্লাব, থিম, প্রতিযোগিতার পিছনে ছোটাছুটি ছিল না। পুজো মানেই ছিল বনেদি বাড়ির সাবেকি প্রতিমা। আর সেই সময় মূলত বাড়ির ঠাকুর দালানে গড়া হত প্রতিমা। অনেকেই রথযাত্রার শুভ দিনে, মাটির প্রতিমার কাঠের ফ্রেমকে পুজো করতেন। যেটি 'কাঠামো পুজো' বলেই পরিচিত। এরপর একটু একটু করে গড়ে উঠত দুর্গা প্রতিমা।
এক সময় পুজো প্যান্ডেল মানে ছিল বাঁশ ও রঙিন কাপড়ের তৈরি। ধীরে ধীরে সেই বাঁশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে থার্মোকল, চট, প্লাস্টিক, কাঠ, পাট প্লাস্টার অফ প্যারিস, সিমেন্ট আরও কত রকমারি সামগ্রী। কলকাতার হেভিওয়েট পুজো প্যান্ডেলগুলোর পাশাপাশি, ছোটখাটো প্যান্ডেলেও থাকে থিমের নয়া চমক৷
যত দিন যাচ্ছে বেড়ে চলেছে খুঁটি পুজোর চাকচিক্য। আগের পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধনে দেখা যেত তারকা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খুঁটি পুজোর দিন থেকে বিভিন্ন তাবড় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে বসে আমন্ত্রিত তারকাদের হাট।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে মহালয়া পড়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার। মহাপঞ্চমী - ৩০ সেপ্টেম্বর, মহাষষ্ঠী - ১ অক্টোবর, মহাসপ্তমী - ২ অক্টোবর, মহাঅষ্টমী - ৩ অক্টোবর, মহানবমী - ৪ অক্টোবর এবং মহাদশমী - ৫ অক্টোবর।