Krishna Janmashtami 2023: ময়ূরের পালক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। তাই কৃষ্ণ উপাসকরা তাদের বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখেন। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর হয়। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থাও মজবুত হয়। যদি আপনার আর্থিক অবস্থাও দুর্বল হয় বা আপনি ঋণের নিচে পড়ে থাকেন, তাহলে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে ময়ূরের পালক দিয়ে করুন এই ব্যবস্থাগুলি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওই দিন ঠি কী করতে হবে...
ময়ূর পালকের প্রতিকার
যদি আপনার আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়, তাহলে জন্মাষ্টমীতে নিকটতম মন্দিরে যান এবং বাঁকেবিহারী কৃষ্ণ কানহাইয়া এবং রাধা রানীকে ময়ূরের পালক অর্পণ করুন। জন্মাষ্টমীর চল্লিশ দিন পর আবার মন্দিরে গিয়ে ময়ূরের পালক এনে নিরাপদে রাখুন। এই প্রতিকার গ্রহণ করলে আর্থিক অবস্থা মজবুত হয়।
জন্মছকে অশুভ গ্রহের প্রভাবে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে থাকলে জন্মাষ্টমীতে ময়ূরের পালক কিনে বাড়িতে নিয়ে আসুন। এবার ময়ূরের পালকের ওপর গঙ্গাজল ছিটিয়ে বাড়ির কোনো শুভ স্থানে রাখুন। আপনি চাইলে সেফেও রাখতে পারেন। এই প্রতিকার করলে আর্থিক অবস্থাও মজবুত হয়।
ন্যায়ের দেবতা শনিদেবও শ্রীকৃষ্ণের উপাসক। আপনি যদি শনির অশুভ দৃষ্টিতে বিরক্ত হন, তাহলে জন্মাষ্টমী তিথিতে তিনটি ময়ূরের পালক নিয়ে আসুন। এবার কালো সুতোয় ময়ূরের পালক বেঁধে দিন। এর পরে, গঙ্গা জল ছিটিয়ে অন্তত ১১ বা ২১ বার শনি মন্ত্র জপ করুন। এই প্রতিকার অনুসরণ করলে ব্যবসায় কাঙ্খিত সাফল্য পাওয়া যায়।
ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে জন্মাষ্টমী তিথিতে ময়ূরের পালক বাড়িতে আনুন। এবার পুজোর পর বাড়ির মূল দরজায় ময়ূরের পালক লাগান। ময়ূরের পালক লাগানোর সময়, "ওম দ্বারপালায় নমঃ জাগ্রে স্থপায় স্বাহা" মন্ত্রটি জপ করুন। এই প্রতিকার করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। বাস্তু দোষ দূর করতে বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব দিকে ময়ূরের পালক লাগান। এই প্রতিকার করলে বাস্তু দোষ দূর হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।