একাকালে বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের কোষ্ঠীবিচার করা হত। কোষ্ঠীতে মেলানো হত দুজনের গুণ। সেই গুণ মিলিয়ে দেখা হত তাঁরা পরস্পরের জীবনসঙ্গী হতে পারেন কিনা। বিয়ের পর অনেকের ভাগ্যই বদলে যায়। কখনও ভেবে দেখেছেন কেন এমনটা হয়? আসলে নারীর জীবনে পুরুষ যেমন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন, সেভাবেই পুরুষের জীবনেও সুদিন আনেন লক্ষ্মীমন্ত স্ত্রী। এই ধরনের মেয়েরা হন খুব ভাগ্যবতী। তাঁরা যা হাত দেন তা-ই সোনা যায়। কীভাবে চিনবেন এমন নারীকে? ভবিষ্য পুরাণ অনুসারে, মেয়েদের শরীরে থাকা তিল, অঙ্গগুলির গঠন, বিশেষ লক্ষণগুলি দেখে বোঝা যায় তিনি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির জন্য কতটা লাকি!
পায়ের আকার
ভবিষ্য পুরাণ অনুসারে,যে নারীর পা লাল, নরম এবং চ্যাপ্টা তিনি ভাগ্যবতী। অন্যদিকে যদি পায়ের আঙুলগুলি একত্রে জোড়া, সোজা, গোলাকার, মসৃণ এবং ছোট নখ থাকে, তাহলে তিনি সুখ ও ঐশ্বর্য আনেন ঘরে। এই ধরনের মহিলাদের স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির জন্য খুব লাকি। সেই সঙ্গে যাঁদের বিয়ে করেন, তাঁদের ভাগ্যও উজ্জ্বল হয় বিয়ের পর।
তিলের স্থান
যে সব নারীর শরীরের বাম দিকে বেশি তিল থাকে তাঁরা স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির জন্য ভাগ্যবতী হন। তাঁদের উপর মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় থাকে।তাঁরা পরিবারকে বেঁধে রাখেন। যেখানেই তাঁরা বিয়ে করেন, সেই পরিবারের উন্নতি হয়। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যোদয় ঘটনা। ঘরে আসে সুখ ও সমৃদ্ধি।
আঙুলের আকার
ভবিষ্য পুরাণ অনুসারে, যে মহিলার আঙ্গুলগুলি গোলাকার, লম্বা, পাতলা, নরম এবং লাল রঙের হয়, তাঁরা মানসিক ও শারীরিক সুখ দিতে সক্ষম হন। তাঁরা সমাজে জনপ্রিয়ও হন। লোকজন তাঁর ব্যবহারের জন্য প্রশংসা করেন। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির জন্য তাঁরা হন অত্যন্ত লাকি।
ঘাড়ের আকার
লম্বা ঘাড় শুভ বলে মনে করা হয়। যাঁদের ঘাড় লম্বা তাঁদের টাকার অভাবও হয় না। গলায় চার আঙুলের মাপে তিনটি স্পষ্ট রেখা থাকলে তা সৌভাগ্যের লক্ষণ। তাঁরা স্বামীর জন্যও হন ভাগ্যবতী। তাঁদের এতটাই ভাল ও মিশুকে যে সহজেই শ্বশুরবাড়ির মন জয় করেন। এই ধরনের সবসময় স্বামীর পাশে দাঁড়ান।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবার অস্ত যাচ্ছে শনি, ৫ রাশির কেরিয়ার-পরিবারে অশান্তি-ঝামেলা