Advertisement

Mahalaya 2021: পুরাণ থেকে রামায়ণ! মহালয়া ঘিরে রয়েছে নানা প্রচলিত কাহিনি

Mahalaya 2021: মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ (Pitri Tarpan) করার রীতি প্রচালিত আছে। পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি। জেনে নিন বিস্তারিত। 

মহালয়া ঘিরে রয়েছে নানা প্রচলিত কাহিনি  মহালয়া ঘিরে রয়েছে নানা প্রচলিত কাহিনি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 Sep 2021,
  • अपडेटेड 8:27 AM IST
  • কথিত আছে মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।
  • মহালয়া থেকেই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর সূচনা হয়।
  • মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি।

Mahalaya 2021: আশ্বিনের 'শারদ প্রাতে' আলোকবেণু বাজতে আর কয়েকদিন অপেক্ষা। চারিদিকে পুজো পুজো (Pujo) গন্ধ। মহালয়ার (Mahalaya) দিন পিতৃপক্ষের (Pitri Paksha) অবসান হয়ে, মাতৃপক্ষ শুরু হয়। সেদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। কথিত আছে মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই মহালয়ার গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে (Hindu Religion) অনেক। 

পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর (Mahisasura) অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা (Devi Durga)। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এই জন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়।

মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ (Pitri Tarpan) করার রীতি প্রচালিত আছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি। জেনে নিন বিস্তারিত। 

আরও পড়ুন

পুরাণ অনুসারে মহালয়া (Mythology & Mahalaya)

কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তাঁর আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। বিশ্বাস করা হয় যে পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন। তাঁদের কৃপায় জীবনের অনেক বাধা দূর হয়। জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। পিতৃপক্ষের শ্রাদ্ধ ও তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এজন্যেই দেবীপক্ষ শুরুর আগে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। 

Advertisement

রামায়ণ অনুসারে মহালয়া (Ramayana & Mahalaya)

শাস্ত্রের নিয়মানুসারে, অকালে কোনও পুজো করলে ইষ্ট দেবতা ও প্রয়াত পিতা -মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তর্পণ করতে হয়। শ্রী রামচন্দ্র, দেবী দুর্গার অকাল বোধন করেছিলেন। আর নিয়ম মেনে তাঁকেও পুজোর আগে করতে হয়েছিল তর্পণ। কথিত আছে রামচন্দ্র, মহালয়ার দিন পিতৃ তর্পণ করেছিলেন। আর সেই থেকেই শুরু হয় এই রীতির। 

মহাভারত অনুসারে মহালয়া (Mahabharata & Mahalaya)

কথিত আছে, স্বর্গে বসবাস করার সময় কর্ণের আত্মাকে খাবার হিসাবে শুধু সোনা ও রত্ন দেওয়া হয়। কারণ দাতা হিসাবে তিনি কখনও পিতৃপুরুষকে জল -খাবার দেননি, সকলকে সোনা -রত্ন দান করেছেন। আসলে কর্ণ, প্রথমে তাঁর পিতৃ পরিচয় জানতেন না। যুদ্ধের আগের রাতে কুন্তীর থেকে সে জানতে পারে সকল সত্যি। এরপরই ভুল সংশোধন করতে তর্পণের পরামর্শ আসে। 

দেবরাজ ইন্দ্রের অনুসারে মহালয়া (Devraj Indra & Mahalaya)

পুরাণ মতে, দেবরাজ ইন্দ্রকে ১৬ দিনের জন্য মর্তে গিয়ে তর্পণ করতে পাঠান যমরাজ। আর এই ১৬ দিনই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয় এবং সেই সময় থেকেই মহালয়ার দিন এবং তার আগে ১৫ দিন পিতৃপুরুষদের জলদান করা হয়। 

 

মহালয়া ২০২১ দিনক্ষণ (Mahalaya 2021 Date & Time)

* এই বছর মহালয়া পড়েছে ৬ অক্টোবর (১৯ আশ্বিন), বুধবার। 

* বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে- মহালয়ার অমাবস্যা তিথি শুরু ৫ সেপ্টেম্বর (১৮ আশ্বিন) , মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.০৬ মিনিট এবং থাকবে ৬ সেপ্টেম্বর ( ১৯ আশ্বিন), বিকেল ৪.৩৫ মিনিট পর্যন্ত।  

* গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে- ৫ সেপ্টেম্বর  (১৮ আশ্বিন) রাত ৬.৩২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড থেকে ৬ সেপ্টেম্বর (১৯ আশ্বিন) ৫.১০ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড অবধি অমাবস্যা থাকবে।   

মহালয়ার দিন ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনীর শোনার রীতি বাঙালির যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মহালয়ার আগে ১৫ দিন চলে পিতৃপক্ষ। উমার মর্তে আগমনের আগে পিতৃপক্ষের শেষে পিতৃ তর্পণ ঘিরে হিন্দু ধর্মে নানা রীতিনীতি রয়েছে। শাস্ত্র মতে কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তাঁর আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। মহালয়া কেটে যাওয়া মানে দুর্গা পুজোর আর ঠিক এক সপ্তাহ। চারিদিকে পুরদস্তুর শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি ও উদযাপন।  


 

Read more!
Advertisement
Advertisement