সনাতন ধর্মে তুলসী গাছের ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। পুরাণে তুলসী মায়ের মর্যাদা পেয়েছে। এই কারণেই এই গাছের পুজো করা হয়। লোকবিশ্বাস,যে যে বাড়িতে তুলসী গাছ থাকে সেই জায়গা ইতিবাচক শক্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধি পূর্ণ হয়। ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। তুলসী পুজো করলে সন্তুষ্ট হন শ্রী বিষ্ণু ও লক্ষ্মী। তুলসী গাছে প্রতিদিন জল দেন সনাতনীরা। সন্ধেয় প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করেন। এতে ঘরে আসে বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মী। তুলসী গাছে বিশেষ জিনিস দিলে মেলে শিবের কৃপায়। জল ছাড়াও কী কী জিনিস তুলসী গাছে নিবেদন করা হয়-
হিন্দু ঘরে নিয়মিত তুলসী পুজো করা হয়। তুলসী পুজোর বিশেষ নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলা হয়। এর মধ্যে রবিবার ও একাদশীতে তুলসী গাছে জল দেওয়া নিষিদ্ধ। তুলসীকে জল নিবেদনের রীতি সম্পর্কে সকলেই অবগত আছেন, তবে খুব কম লোকই জানেন যে তুলসীকে আরও অনেক কিছু দেওয়া হয়। এর মধ্যে আখের রস এবং কাঁচা দুধও রয়েছে।
তুলসী গাছে যা অর্পণ করবেন- তুলসী গাছে কাঁচা দুধ নিবেদনের বিবিধ শুভ লাভ রয়েছে। লোকবিশ্বাস, তুলসী গাছে জল দুধ দিলে পরিবারে ঝামেলা ও ঝগড়া শেষ হয়। তুলসী গাছে কাঁচা দুধ, যা শিবের খুব প্রিয়, নিবেদন করলে বাড়ির আয় বাড়ে এবং আর্থিক লাভ হয়। মানুষের আর্থিক সমস্যা দূর হয় এবং ঘরে সচ্ছলতা আসে।
তুলসী গাছে কাঁচা দুধ দেওয়ার পদ্ধতি-কাঁচা দুধ সরাসরি তুলসীকে অর্পণ করা হয় না। বরং কাঁচা দুধে জল মিশিয়ে নিবেদন করা হয়। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার দুধ অপর্ণ করুন তুলসী গাছে। এতে মেলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ পান। কারণ বিষ্ণুর প্রিয় তুলসী। এতে পরিবারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।
নিয়মিত তুলসী পুজোয় যা যা সাবধানতা অবলম্বন করবেন- যে সমস্ত ভক্তরা নিয়মিত তুলসীর পুজো করেন, তাঁরা কখনও স্নান না করে, বাসি কাপড়ে ছোঁবেন না। বাড়ির দক্ষিণ দিকে তুলসী গাছ লাগানো উচিত নয়। এমনকি তুলসীর পাত্রও রাখা উচিত নয়। এর পাশাপাশি শিবের পুজোয় তুলসী পাতা ব্যবহার করবেন না। ভুল করেও শিবকে তুলসী নিবেদন করা উচিত নয়। এতে রুষ্ট হন মহাদেব।