Advertisement

Nil Sasthi 2021: মায়েরাই পালন করেন নীল ষষ্ঠী! জানুন এই ব্রত-র নেপথ্য কাহিনি

সামনেই আসছে নীলপুজো বা নীলষষ্ঠী (Nil Sasthi)। প্রায় প্রতি বাড়ির মহিলারাই এদিন মূলত সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন। মহাদেবের (Lora Shiva) মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা। 

নীলষষ্ঠী ২০২১নীলষষ্ঠী ২০২১
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 05 Apr 2021,
  • अपडेटेड 5:39 PM IST
  • বাংলার হিন্দুসমাজের এক লৌকিক উৎসব নীলষষ্ঠী।
  • প্রায় প্রতি বাড়ির মহিলারাই এদিন মূলত সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন।
  • এই পুজো উপলক্ষে মহাদেবের মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা। 

বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ, তা আর কারও অজানা নয়। আর গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে রয়েছে একাধিক পুজো-পার্বণ। সামনেই আসছে নীলপুজো বা নীলষষ্ঠী (Nil Sasthi)। প্রায় প্রতি বাড়ির মহিলারাই এদিন মূলত সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন। মহাদেবের (Lora Shiva) মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা। 

বাংলার হিন্দুসমাজের এক লৌকিক উৎসব নীলষষ্ঠী। তবে এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। আসুন জানা যাক... 

নীলষষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নানা লোক কথা

আরও পড়ুন

দেবাদিদেব শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ বা নীল। অনেকে মনে করেন,  শিবের সঙ্গে নীলচণ্ডিকা বা নীলাবতী পরমেশ্বরীর বিয়ে উপলক্ষ্যে লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান সংঘটিত হয় এদিন। শোনা যায়, দক্ষযজ্ঞে দেহত্যাগের পর সতী পুনরায় নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে আবির্ভূত হন ৷ এরপর রাজা তাঁকে নিজের মেয়ের মতো করে বড় করে শিবের সঙ্গে ফের বিয়ে দেন ৷ বাসর ঘরে মক্ষিপারূপ ধরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি ৷ তা দেখে শোকে রাজা-রাণীও প্রাণ বিসর্জন দেন ৷ তাই অনেকেই মনে করেন শিব ও নীলাবতীর বিবাহের স্মারক হল 'নীলপূজা৷'

নীলষষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও একটি লোক কথা। পুরাকালে এক বামুন আর বামুনী ছিল। যারা অতি ভক্তি ভরে নানা ব্রত পালন করলেও তাঁদের সন্তান বেশিদিন বাঁচত না। এরকম ভাবে দিন কাটানোর সময়ে একদিন কাশীর গঙ্গা ঘাটের ওপর বসে দুঃখে দুজনে কাঁদছিলেন তাঁরা। এই দেখে মা ষষ্ঠী বুড়ি বামনীর বেশ ধরে এসে তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন, “তোরা কাঁদছিস কেন?”

বামুনী তাঁর দুঃখের কথা জানালে, মা ষষ্ঠী প্রশ্ন করেন, “তোরা কি নীল ষষ্ঠী করেছিস?” বামনী উত্তর দেয়, “সে কি মা? কই ও ব্রত তো আমরা জানি না।” তখন মা ষষ্ঠী তাঁদের বলেন, “সমস্ত চৈত্র মাস সন্ন্যাস করে শিব পুজো করবে, তারপর সংক্রান্তির আগের দিন, সমস্ত দিন উপোষ করে সন্ধে নাগাদ নীলাবতীর পুজো করে নীলকণ্ঠ শিবের ঘরে বাতি জ্বেলে দিয়ে, মা ষষ্ঠীকে প্রণাম করে তবে জল খাবে। ঐ দিনকে ষষ্ঠীর দিন বলে। যারা নীলষষ্ঠী করে তাঁদের ছেলে মেয়ে কখনও অল্প বয়সে মরে না।” এই কথা বলেই বামনী বেশে মা ষষ্ঠী অদৃশ্য হয়ে যায়।

Advertisement

এরপর বামুন ও বামনী  ভক্তি ভরে নীলষষ্ঠীর পুজো করেন। এরপর তাঁদের ছেলেমেয়ের কোনও অঘটন ঘটেনি। তাঁরা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকে। এভাবেই শুরু হয় নীলষষ্ঠীর পুজো ৷ 

নীলষষ্ঠীর সময় 

সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তির আগে অর্থাৎ চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়। এই বছর ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ ৩০ চৈত্র পড়েছে নীলপুজোর তারিখ। 

নীলষষ্ঠীতে মূলত সন্তানের কামনায় উপবাস করে থাকেন মহিলারা। তবে শুধু বিবাহিত মহিলা নয়, অবিবাহিত মহিলা এবং অনেক পুরুষও এই ব্রত পালন করেন নিষ্ঠা করে। তারকেশ্বর থেকে শুরু করে পশ্চিম বাংলার একাধিক স্থানে কাঁধে বাঁক নিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালতে হাজির হন শিব ভক্তেরা।  

Read more!
Advertisement
Advertisement