জ্যোতিষের মতোই সংখ্যাতত্ত্বের গণনায় ব্যক্তির প্রকৃতি ও স্বভাব নির্ধারণ করা যায়। ব্যক্তির জন্ম তারিখ মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। সংখ্যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শুভ ও অশুভ যোগ। সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয় মূলাঙ্কের ভিত্তিতে। কীভাবে ধরা হয় মূলাঙ্ক? ধরা যাক, কারও জন্ম তারিখ ১৫। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মূলাঙ্ক হবে ১ ও ৫-এর যোগফল ৬। তেমনই ২০ তারিখে জন্ম হলে মূলাঙ্ক হবে ২। এমন একটি মূলাঙ্ক রয়েছে যা মা লক্ষ্মীর প্রিয়। এই মূলাঙ্কের মেয়েরা পরিবার ও স্বামীর জন্য অত্যন্ত লাকি হন।
নিশ্চয়ই দেখেছেন কিছু সংখ্যা খুব শুভ হয়। আর কিছু সংখ্যা অশুভ। তেমনই কয়েকটি জন্ম তারিখের জন্মানো মেয়েরা হন লাকি। তাঁদের উপরে থাকে মা লক্ষ্মীর আশিস। পরিবারে কখনও টাকা-পয়সা বা খাবারের অভাব হয় না। এই মূলাঙ্ক হল ৩। যাঁদের জন্ম মাসের ৩, ১২, ২১ এবং ৩০ তারিখে তাঁরাই হন ৩ মূলাঙ্কের জাতিকা। ৩ মূলাঙ্কের জাতিকারা স্বামী ও বাবার জন্য ভাগ্যবতী। সঙ্গে থাকলে উন্নতি করে পরিবার।
আরও পড়ুন- বুধবার থেকে সহায় সূর্যদেব, ভাগ্যের সঙ্গ ৫ রাশির, অর্থলাভের যোগ
বুদ্ধিমতী- সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে, ৩ মূলাঙ্কের মেয়েরা হন খুবই বুদ্ধিমতী। বাবা-মায়ের জন্য খ্যাতি এনে দেন। সেই সঙ্গে যে বাড়িতে তাঁদের বিয়ে হয়, সেই বাড়িতে কখনও অর্থ ও খাবারের অভাব হয় না। এই মেয়েরা স্বামীর প্রতি বিশ্বাসযোগ্য হন। তাঁরা সবাইকে খুশি রাখতে পারেন। বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে চলতে পারার গুণ রয়েছে।
সবসময় পাশে থাকেন- যে কোনও পরিস্থিতিতে নিকটজনের সঙ্গে থাকেন। স্বামীর প্রতিটি সুখ-দুঃখে থাকেন। কখনও প্রতিকূল অবস্থায় ছেড়ে যান না ৩ মূলাঙ্কের মেয়েরা। তাঁরা বুদ্ধিমতী হওয়ায় যে কোনও সমস্যা সামলে নিতে পারেন। পরিবারের সুখের কথা ভাবেন। এই মূলাঙ্কের জাতিকারা পরিবারের জন্য খুবই লাকি। স্বামীর ভাগ্যোদয় ঘটে। আয়বৃদ্ধি হয়।
পুজো-পাঠ ও আধ্যাত্মিকতা- বৃহস্পতির প্রভাবে এই ধরনের মেয়েরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসী। তাঁরা পুজো-পাঠ করেন।
আত্মবিশ্বাসী-এই মূলাঙ্কের জাতিকারা হন যত্নশীল, শক্তিশালী, স্বাধীন মনের, আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ। তিনি সর্বত্র সম্মান পান। তাঁদের উপর মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় থাকে। কেরিয়ারেও দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেন। গোপন বিষয় সম্পর্কেও তাঁদের প্রচুর জ্ঞান।