ঈশ্বর মানবদেহের গঠন কিছুটা ভিন্নভাবে করেছেন। মনে করা হয়, মানুষের মধ্যে কোন গুণের প্রাধান্য রয়েছে, তা আঙুল দিয়েই জানা যায়। হস্তরেখাবিদ্যা অনুসারে, কোনও ব্যক্তির ভাগ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু তাঁর আঙুলের আকৃতি, ধরন এবং গঠন দ্বারা নির্ণয় করা যেতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, আঙুলগুলি অনেক কিছু বলে। কোনও ব্যক্তির কনিষ্ঠা, অনামিকা, মধ্যমা আঙুল, তর্জনী এবং বুড়ো আঙুল থেকে অনেক কিছু বোঝা যায়। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১. কনিষ্ঠা আঙুল - হাতের সবচেয়ে ছোট আঙুলকে বলা হয় কনিষ্ঠা আঙুল। এই আঙুল আর্থিক অবস্থা এবং বুদ্ধিমত্তার মাত্রা সম্পর্কে ধারনা দেয়। আঙুল যত লম্বা হবে সেই ব্যক্তি তত বেশি বুদ্ধিমান হবেন এবং কর্মক্ষেত্রে উচ্চ পদ লাভ করবেন। এই আঙুলটি যদি খাটো বা আঁকাবাঁকা হবে, তাঁর জীবনে তত উত্থান-পতন আসবে। তাই এই মানুষদের হঠাৎ করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
প্রতিকার - কনিষ্ঠ আঙুল সমস্যা থাকলে ভগবান গণেশকে দূর্বা অর্পণ করুন এবং প্রতিদিন তাঁর পূজা করুন। এতে জীবনের অনেক সমস্যার অবসান হবে।
২. অনামিকা আঙুল - সাধারণত অনামিকাতে বাগদানের আংটি পরানো হয়। এই আঙুল থেকে কোনও ব্যক্তির অনুভূতি, স্বাস্থ্য এবং খ্যাতির বিষয়ে জানা যায়। এই আঙুলের দৈর্ঘ্য ব্যক্তিকে সাহসী করে তোলে। এই আঙুল মাঝারি আকারের হলে ভাল। এই আঙুল লম্বা হলে মানুষ জীবনে সফলতা পায়।
প্রতিকার - এই আঙুলে গন্ডগোল হলে প্রতিদিন সূর্যকে জল অর্পণ করুন ও প্রার্থনা করুন।
৩. মধ্যমা আঙুল - হাতের মাঝের সবচেয়ে লম্বা আঙুলটিকে বলে মধ্যমা। এর সাহায্যে আমরা ব্যক্তির কর্মক্ষমতা, কর্মসংস্থান এবং কেরিয়ার সম্পর্কে জানা যায়। এই আঙুল যত লম্বা হবে, কর্মজীবনে তত বেশি সাফল্য পাবেন। আর এই আঙুল যদি অনামিকার চেয়ে খাটো হয়, তাহলে জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। এই আঙুলে তিল থাকলে সেই ব্যক্তিকে জীবনে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়।
প্রতিকার - এই আঙুলের দোষ কাটাতে লোহার আঙটি পরুন।
৪. তর্জনী আঙুল - বুড়ো আঙুলের ঠিক পাশের আঙুলটিকে বলা হয় তর্জনী। এটি একজন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক বিকাশ এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে দেখায়। এই আঙুল যদি লম্বা এবং সোজা হয়, তবে ব্যক্তি জীবনে বিশেষ উন্নতি লাভ করেন। যদি তর্জনীটি অনামিকা আঙুলের সমান হয় তবে ব্যক্তিটি ধূর্ত স্বভাবের হন।
প্রতিকার - তর্জনীতে সোনা পরলে মানুষ বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পান।
বুড়ো আঙুল - জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বুড়ো আঙুল প্রকৃতি এবং ভবিষ্যতের কথা বলে। বুড়ো আঙুল তিনটি ভাগে বিভক্ত, উপরের অংশ, মধ্যভাগ এবং শেষ অংশ। এই তিনটি ভাগ্যরেখা দ্বারা বিভক্ত। প্রথম অংশটি দীর্ঘ হলে ব্যক্তির ভাল ইচ্ছাশক্তি থাকে। জীবনে সাফল্য আশে। আঙুলে পর্ব থাকে। প্রথম পর্ব ইচ্ছাশক্তির প্রতীক। দ্বিতীয়টি জ্ঞানের প্রতীক এবং তৃতীয়টি প্রতীক আত্মজ্ঞানের প্রতীক।
আরও পড়ুন - ছবিতে কোনও বল দেখতে পাচ্ছেন? পেলে আপনার দৃষ্টি তুখোড়