২৫ জুলাই থাকে শ্রাবণ মাসের সূচনা হয়েছে। এই মাস ভগবান শিবের খুব প্রিয় মাস। এই সময় তাঁর পূজার্চনা করলে মহাদেবের কৃপা লাভ হয়। আগামী ২২ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে শ্রাবণ মাস। শ্রাবণের শুরুতেই পঞ্চক কালের সূচনা হয়েছে। সনাতন ধর্মে পঞ্চক কালকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে মনে করা হয়।
২৫ জুলাই রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে শুরু হয়েছে পঞ্চক কাল। চলবে ৩০ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে কোনও শুভ কাজের জন্য ভালো নয়। চন্দ্রমা এখন ঘনিষ্ঠা, উত্তরাভাদ্রপদ, পূর্বাভাদ্রপদ, রেবতী এবং শতভিষা, এই পাঁচ নক্ষত্রে ভ্রমণ করে। তাই এর নাম পঞ্চক কাল।
পঞ্চক কালে ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না
- মৃত্যুকে পঞ্চক কালে ভীষণ মান্যতা দেওয়া হয়েছে। শাস্ত্র মতে মনে করা হয়, যদি কেউ পঞ্চক কালে মারা যান, তবে সেই পরিবারের আরও পাঁচ জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হয় পঞ্চক কালে। তাই মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কুশের পুতুল তৈরি করে তাকে দাহ করার রীতি রয়েছে।
- গরুড় পুরাণ অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির দাহ সৎকার করার সময় দাহ সম্বন্ধিত নক্ষত্রের মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে আহুতি দেওয়া উচিত। নিয়মমতো দেওয়া আহুতির ফলে পুণ্যলাভ হয়। তীর্থস্থানে মৃতের সৎকার করলে তাঁর আত্মা শান্তি পায়।
- একটি অন্য মান্যতা অনুযায়ী, যখন রাম রাবণ বধ করেছিলেন, তার পর থেকে পাঁচ দিন এই পঞ্চক কাল পালন করা হয়েছিল। শাস্ত্রমতে এই কালকে খুব খারাপ সময় হিসাবে গণ্য করা হয়।
- পঞ্চক কালে যে সমস্ত কাজ নিষিদ্ধ: সনাতন ধর্ম অনুযায়ী এই সময় কাঠ বা কাঠ জাতীয় কোনও দ্রব্য কেনা নিষেধ। যদি কেউ বাড়ি-ঘর তৈরি করান সে ক্ষেত্রে এই পাঁচ দিনের মধ্যে তার ছাদ তৈরি করা অশুভ মনে করা হয়। খাট-আসবাব তৈরি করা বা দক্ষিণ দিকে যাত্রা করা এই সময়ে অশুভ মনে করা হয়।
- দিন হিসেবে পঞ্চক কালের নামকরণ করা হয়। যদি রবিবার পঞ্চক কাল শুরু হয়, তবে তার নাম হয় রোগ পঞ্চক কাল। সোমবার হলে রাজ পঞ্চক কাল। মঙ্গলবার হলে হয় অগ্নি পঞ্চক কাল।
- বুধ এবং বৃহস্পতিবার হলে তা দোষমুক্ত পঞ্চক কাল বলা হয়। শুক্রবার শুরু হলে তাকে চোর পঞ্চক কাল বলা হয়। শনিবার হলে বলা হয় মৃত্যু পঞ্চক কাল।