Advertisement

Pitru Paksha-Crow's Significance: শ্রাদ্ধে কেন কাককে খাওয়ানো বাধ্যতামূলক? জেনে নিন পুরাণের ব্যাখ্যা

Pitri Shradhya Rules: শাস্ত্র মতে কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তার আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। পিতৃপক্ষের সময়কালে এবং শ্রাদ্ধ শান্তির সময়, হিন্দু ধর্মে কাককে খাওয়ানোর রীতি আছে। জানুন এর পিছনে রয়েছে কোন কারণ। 

শ্রাদ্ধে কাককে খাওয়ানো রীতি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 24 Sep 2024,
  • अपडेटेड 10:58 AM IST

পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হয় মাতৃপক্ষের। মহালয়ার আগের ১৫ দিন চলে পিতৃপক্ষ। উমার মর্তে আগমনের আগে পিতৃপক্ষের শেষে পিতৃ তর্পণ ঘিরে হিন্দু ধর্মে নানা রীতিনীতি রয়েছে। শাস্ত্র মতে কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তার আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। 

দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে গণেশ উৎসবের পরবর্তী ভাদ্র পূর্ণিমা তিথিতে পিতৃপক্ষের সূচনা হয়ে মহালয়ার দিন সমাপ্তি হয়। অন্যদিকে উত্তর ভারত ও নেপালে ভাদ্র মাসের পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। তবে সাধারণভাবে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদে পিতৃপক্ষ শুরু হয় এবং অমাবস্যা তিথি অবধি থাকে। এই বছর পিতৃপক্ষ শুরু হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। ২ অক্টোবর, মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে, শুরু হবে দেবীপক্ষ। 

 

বিশ্বাস করা হয় যে, পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন। তাদের কৃপায় জীবনের অনেক বাধা দূর হয়। জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। পিতৃপক্ষের নিয়মকানুন পালন করলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পিতৃপক্ষের শ্রাদ্ধ ও তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব ও নিয়মকানুন রয়েছে। পিতৃপক্ষের সময়কালে এবং শ্রাদ্ধ শান্তির সময়, হিন্দু ধর্মে কাককে খাওয়ানোর রীতি আছে। জানুন এর পিছনে রয়েছে কোন কারণ। 

 

পুরাণ অনুযায়ী, কোনও জীবিত ব্যক্তির তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বসবাস করেন। এই লোক আসলে, স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। মৃত্যু দেবতা যমরাজই পিতৃলোকের শাসক। সদ্য মৃত ব্যক্তির আত্মাকে মর্ত্য থেকে পিতৃলোকে নিয়ে যান যমরাজ। আবার পরবর্তী প্রজন্মের কারও মৃত্যু হলে, আগের প্রজন্মের একজনের স্বর্গে গমন হয় এই পিতৃলোক থেকে। স্বর্গে গমনের পর সেই আত্মা, পরমাত্মায় লীন হন।  

Advertisement

 

শ্রাদ্ধ- শান্তির সময় কাককে খাওয়ানোর রীতি

পিতৃপক্ষে কাককে খাওয়ানোর তাৎপর্য রয়েছে হিন্দু ধর্মে। আসলে মনে করা হয় কাক, যমরাজের প্রতীক। এজন্যে শ্রাদ্ধের আগে অশৌচ চলাকালীন হবিষ্যি খাওয়ার আগে কাককে খাওয়ার উৎসর্গ করে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে হয়। সেই খাবারে কাক মুখ না দিলে, সেটি হবিষ্যি করা যায় না। বিশ্বাস করা হয় যে, কাক যদি সেই খাবার গ্রহণ করে, তাহলে পূর্ব পুরুষেরা সন্তুষ্ট হন।

 

 প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্রে কেবল মাত্র কাকের উল্লেখ আছে, যা পূর্ব পুরুষ বা আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত। কাকের উল্লেখ ও গুরুত্ব রয়েছে ভারতের বাইরের বিভিন্ন পুরাণেও। গরুড় পুরাণ অনুসারে, কাক হলেন যমরাজের বার্তা বহনকারী। গ্রীক পুরাণে মনে করা হয়, কাক, সৌভাগ্যের প্রতীক।  

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement