পুরীর (Puri) জগন্নাথধামে (Jagannath Dham) সারা বছর জুড়েই দেশ- বিদেশ থেকে ভক্তদের সমাগম হয়। জগন্নাথ মহাপ্রভুর দর্শনে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবার ওড়িশার সমুদ্রসৈকতের পাশে অবস্থিত জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple) নয়া নিয়ম লাগু হত চলেছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পোশাক নিয়ে কড়া বিধি- নিষেধ ও নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে মন্দিরে আগত পুণ্যার্থীদের।
পুরীর মন্দিরে 'অশালীন' পোশাক পরে প্রবেশ করা যাবে না, বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অনেকেই মন্দির-উপযোগী পোশাক না পরায়, 'নিতি' উপ-কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বলে জানান কমিটির এক সদস্য। কোন ধরনের পোশাক পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে।
জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসনিক প্রধান রঞ্জন কুমার দাস বলেন, "মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু মানুষ অন্যের ধর্মীয় অনুভূতির তোয়াক্কা না করেই মন্দিরে আসছেন। ছেঁড়া জিন্স, স্কার্ট, স্লিভলেস পোশাক এবং হাফ-প্যান্ট পরে এমনভাবে মন্দিরে তাঁরা আসছেন, যেন মনে হচ্ছে সমুদ্র সৈকতে বা পার্কে হাঁটছেন। মন্দির ঈশ্বরের বাসস্থান, বিনোদনের জায়গা নয়।"
তিনি আরও যোগ করেন, "কোন ধরণের পোশাক পরে মন্দির চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, শীঘ্রই নির্ধারণ করা হবে। মন্দিরের ভিতরে ১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে কঠোরভাবে ড্রেস কোড প্রয়োগ করা হবে। মন্দিরের 'সিংহ দ্বার'-এ মোতায়েন নিরাপত্তা কর্মী এবং মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রতিহারি সেবকদের এই নিয়ম কার্যকর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্দির প্রশাসন মঙ্গলবার থেকে ভক্তদের মধ্যে ড্রেস কোড সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে শুরু করবে।"
প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দির, বিষ্ণুদেবের একটি রূপ জগন্নাথকে উৎসর্গ করা হয়েছে। পুরী ভারতের পূর্ব উপকূলে ওড়িশা রাজ্যে অবস্থিত। আবন্তির সোমবংশ রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন পুরিতে ভগবান জগন্নাথের প্রধান মন্দির নির্মাণ করেছেন। বর্তমান মন্দিরটি দশম শতকের পর থেকে পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের প্রথম রাজা অনন্তবর্মন চোদাগঙ্গার দ্বারা পুনর্নির্মিত শুরু হয়েছিল, তবে কম্পাউন্ডে পূর্ব-বিদ্যমান মন্দিরগুলির জায়গায়, মূল জগন্নাথ মন্দির নয়। এটি চারধামের অন্যতম যেখানে সকল ধার্মিক হিন্দুদের জীবনে অন্তত একবার যেতে চান।