বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দৈনন্দিন জীবনে এমন বহু কাজ আছে যা মানুষের উন্নতিকে প্রভাবিত করে। এসব কারণে বাস্তুদোষ সৃষ্টি হয়। চলে যায় ঘরের সুখ-সমৃদ্ধি। বাস্তুর কিছু নিয়ম মেনে চললে ঘরে প্রবেশ করেন দেবী লক্ষ্মী। ঘরে রাখা কিছু জিনিস বাস্তু দোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই জিনিসগুলি যদি বাড়ি থেকে সরিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে দেবী লক্ষ্মী কুপিত হন। ওই ব্যক্তিকে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়।
বাড়িতে এমন গাছ লাগাবেন না- অনেকের বাড়িতে বা বাগানে ক্যাকটাস গাছ বা কাঁটাযুক্ত গাছ রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে কাঁটাযুক্ত গাছ লাগানো মোটেও শুভ নয়। ঘরে কাঁটাযুক্ত গাছ লাগালে আর্থিক সমস্যা হয়। থাকে না সুখ-শান্তি। ঘিরে ধরে অভাব-অনটন।
ভাঙাচোরা জিনিস- ঘরে ভাঙাচোরা জিনিসপত্র থাকলে তা আর্থিক সঙ্কট সৃষ্টি করে। মা লক্ষ্মী কখনও এমন বাড়িতে থাকেন না। তা ছাড়া বাস্তু অনুসারে, ভাঙাচোরা জিনিস ঘরে আনে নেতিবাচকতা।
আলোহীন ঘর- ঘরে আসে না সূর্যের আলো। সবসময় অন্ধকার ও স্যাঁতস্যাতেঁ পরিবেশ। এই ধরনের বাড়িতে আসেন না লক্ষ্মী। এই সব বাড়িতে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা সবসময়ই লেগেই থাকে।
এঁটো বাসন- রাতের বেলা রান্নাঘরে নোংরা বাসন রেখে দেন যাঁরা, তাঁদের প্রতিও দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। এঁটো বাসন রেখে দিলে কুপিত হন শনিদেব। এই সব বাড়িতে পরিশ্রমের ফল মেলে না।
অপরিচ্ছন্নতা- দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় ঘর সর্বদা ধন-সম্পদে পূর্ণ থাকে। মা লক্ষ্মী এমন সব বাড়িতে থাকেন যেখানে পরিচ্ছন্নতা থাকে না। যদি চান যে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় আপনার উপর থাকে, তাহলে বাড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
পুরনো ঘড়ি-জুতো- পুরনো ভাঙা বা বিকল ঘড়ি, ছেঁড়া জুতো কখনও বাড়িতে রাখবেন না। এই ধরনের জিনিস নেতিবাচকতা তৈরি করে। জীবনে কখনও আয় বাড়ে না।