শুরু হচ্ছে পবিত্র শিবের মাস- শ্রাবণ। এবছর শ্রাবণ শুরু হবে ২৪ জুলাই থেকে এবং চলবে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত। এই মাসে ভোলেনাথের পুজো করেন ভক্তরা। বিশ্বাস করা হয় যে, শ্রাবণের সোমবার উপবাস পালন করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এই পবিত্র মাসে শিবের আরাধনা করলে অশুভ যোগের বিনাশ হয়। জানুন, এই সময় দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করলে কোন অশুভ যোগের নাশ হয়।
* কেমদ্রুম যোগ
এটি চন্দ্র থেকে তৈরি সবচেয়ে বিপজ্জনক দুর্যোগ। যদি চন্দ্রের দু'পাশে কোনও গ্রহ না থাকে এবং কোনও গ্রহের দৃষ্টিভঙ্গি না থাকে, তাহলে কেমদ্রুম যোগ গঠিত হয়। এই যোগের কারণে মানসিক অসুস্থতা, বিষণ্নতা বা মানসিক চাপের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেক সময় একজন মানুষকেও প্রচণ্ড দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে হয়। রাশিতে বৃহস্পতি শক্তিশালী হলে এই যোগ অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রতিকার
শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবকে দুধ দিয়ে অভিষেক করুন। গলায় রুপোর হার পরুন। আপনার মা এবং নারীদের সম্মান করুন।
* বিষ যোগ
জ্যোতিষশাস্ত্রের সবচেয়ে রহস্যময় এবং নেতিবাচক যোগ হল বিষ যোগ। শনি-চন্দ্র বা শনি-রাহুর সম্পর্কের কারণে এই যোগ তৈরি হয়। এই যোগ গঠিত হলে, একজন ব্যক্তি মাদকাসক্ত, খারাপ চরিত্র এবং অনৈতিক হয়ে যায়। অনেক সময় মারাত্মক দুর্ঘটনারও শিকার হতে হয়। সাধারণত বড় অপরাধীও হয়ে ওঠে।
প্রতিকার
প্রতিদিন সকালে সূর্যকে জল অর্পণ করুন। তুলসী পাতা খান। ভগবান শিবকে ভাং ও ধুতুরা ফুল নিবেদন করুন। রুদ্রাক্ষের মালা পরান।
* গ্রহন যোগ
রাহু -সূর্য বা চন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হলে গ্রহণ যোগ তৈরি হয়। এই অশুভ যোগ সুখ বিনষ্ট করে। এটা ঘটলে ব্যক্তির সুখ গ্রহণ হয়ে যায়। রাশিফলের শুভ যোগ কাজ করে না।
প্রতিকার
শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার উপবাস রাখুন। শুধু শিবলিঙ্গের জলাভিষেক করুন। শ্রাবণের সকাল ও সন্ধ্যায় শিব পঞ্চাক্ষরী স্তোত্র পাঠ করুন।
* রাহু-কেতু থেকে তৈরি খারাপ যোগ
রাহু-কেতুর খারাপ অবস্থা রাশিফলকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এটি কালসর্প দোষ বা পিতৃদোষ নামেও পরিচিত। এর কারণে জীবনে বড় উত্থান-পতন আসে। উন্নতির সব পথ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতিকার
একটি সাপের আংটি পরুন। কাঁচা দুধে দূর্বা রেখে শিবলিঙ্গে নিবেদন করুন। পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে নাগিনী দ্বাদশ নাম স্তোত্র পাঠ করুন।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)