Shani Dev: শনি অবস্থান পরিবর্তনের ফলে অনেক রাশির জাতকদের বিভিন্ন রকম সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তবে চেষ্টা করলেই শনিবার কু নজর এড়ানো যায়। কষ্ট দূর করতে লোহার আংটি পরানো হয়। এই আংটি যদি ঘোড়ার নালের বা পেরেক দিয়ে তৈরি হয় তাহলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই আংটি পরার জন্য যে আংটি তৈরি করা হয় তা আগুনে উত্তপ্ত হয় না। আসুন জেনে নিই শনিদেবের সবচেয়ে প্রিয় ৫টি জিনিস।
কী কী করতে হবে
শনিবার সরিষার তেলে কিছুক্ষণ রেখে তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ডান হাতের মধ্যমা আঙুলে পরুন। শনির কারণে শারীরিক সমস্যা হয় বা দুর্ঘটনার প্রবণতা থাকে, তবে এটি পরা খুব শুভ হবে। শনির জন্য সরিষার তেল দান করা এবং ব্যবহার করা খুব অনুকূল ফল দেয়। যদি শনির কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায় এবং আপনি জীবনে কোনও সাফল্য না পান তবে সরিষার তেলের বিশেষ ব্যবহার করুন। শনিবার সকালে একটি লোহার পাত্রে সরিষার তেল নিয়ে তাতে এক টাকার কয়েন রাখুন। তেল গরীবকে দান করুন বা অশ্বথ্থ গাছের নীচে রাখুন।
শনির আশীর্বাদ পেতে শনিবার অশ্বথ্থ গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালাতে হবে। শনির কারণে আর্থিক সমস্যা হলে কালো উরদ ডাল বা কালো তিল ব্যবহার করুন। শনিবার সন্ধ্যায় কোনো গরীবকে দেড় কেজি কালো তিল দান করুন। কমপক্ষে পাঁচটি শনিবার এটি দান করুন। আপনার আর্থিক সমস্যা শেষ হবে। শনিবার কালো মসুর ডাল বা কালো তিল দান করবেন, সেটা শনিবার নিজে খাবেন না।
এই নিয়মগুলি মানতে হবে
শনির জন্য করা সমস্ত দানে রান্নার জন্য লোহার পাত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যদি শনি দুর্ঘটনাজনিত হয় তবে রান্নার জন্য লোহার পাত্র দান করা উচিত। শনিবার সন্ধ্যায় কোনো দরিদ্র ব্যক্তিকে তাওয়া, কড়াই বা লোহার বাসন দান করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়ানো যায়। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং রোগ দূর না হলে কালো জিনিসপত্র দান করতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় কোনো গরীবকে কালো কাপড় ও কালো জুতা দান করুন।
গরিবদের দান করুন
দান করার পর সেই গরীব ব্যক্তির কাছ থেকে আশীর্বাদ নিন, আপনার স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করবে। শনির জন্য ঘোড়ার নালের গুরুত্ব রয়েছে। তবে মনে রাখবেন শনির জন্য একই ঘোড়ার নাল ব্যবহার করা উচিত, যা আগে ঘোড়ার পায়ের সাথে লাগানো হয়েছে। একেবারে নতুন কেনা বা অব্যবহৃত নাল কোন প্রভাব তৈরি করে না। শুক্রবার ঘোড়ার নাল আনুন, সরিষার তেল দিয়ে ধুয়ে শুদ্ধ করুন। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির মূল প্রবেশপথে নাল আকৃতি দিন। এতে করে বাড়ির সকল মানুষ শনির আশীর্বাদ পাবে এবং ঘরে কোনো কলহ থাকবে না।