শনি দেব হলেন কর্মের দাতা। তিনি ন্যায়ের দেবতা। আসলে শনিদেব মানুষকে তাঁদের কর্ম অনুসারে ফল দেন। শনিদেবের শুভ ও অশুভ উভয় দৃষ্টি রয়েছে। শনির কৃপায় থাকলে মানুষের জীবন সুখে ভরে ওঠে। শনিদেবের অশুভ দৃষ্টির কারণে জীবন ভরে ওঠে বাধাবিঘ্নে। কোনও কাজে মেলে না সাফল্য। সমস্ত কাজ পণ্ড হয়ে যায়। ফলে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন কাটাতে শনির ক্রোধ থেকে বাঁচতে হবে। অপছন্দের কাজকর্ম করলে ক্ষুব্ধ হন শনি। তাঁর অশুভ প্রভাবে সকলে নাস্তানাবুদ হন। তাই এমন কোনও কাজ করতে নেই যাতে অসন্তুষ্ট হন বড়বাবা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী করবেন না-
মিথ্যা কথা নয়- কথায় কথায় মিথ্যা বলা অনুচিত। অনেকেই ছোটখাটো মিথ্যা বলে ফেলেন। তাতে শনিদেব রুষ্ট হন। মিথ্যা কথা একদম পছন্দ করেন না বড়বাবা।
কাজে ফাঁকি- কাজে ফাঁকি দেওয়া না-পসন্দ শনিদেবের। পরিশ্রম করলে ফল দেন কর্মফলদাতা। সুফল চাইলে মন দিয়ে কর্ম করে চলতে হবে। ফাঁকি দেওয়া চলবে না। শনির সাড়ে সাতি বা ঢাইয়া চললেও যদি কোনও ব্যক্তি কঠোর পরিশ্রম করেন বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে দেন বড়বাবা।
প্রতারণা নয়- প্রতারকদের পছন্দ করেন না শনিদেব। তাই কারও সঙ্গে প্রতারণা করবেন না। যে ব্যক্তির যা প্রাপ্য দিন। কারও হকের টাকা থাকলে মিটিয়ে দেন। প্রতারণা করবেন না।
বড়দের সম্মান- বড়দের সম্মান না করায় শনিদেব রেগে যান। শনির নিষ্ঠুর দৃষ্টির সম্মুখীন হতে হয়। শনির নিষ্ঠুর দৃষ্টি এড়াতে বড়দের সম্মান করুন।
শনিবার লোহা কিনবেন না- শনিবার লোহা কেনা অশুভ বলে মনে করা হয়। শনিবার লোহা কিনে বাড়িতে আনলে শনিদেব রেগে যান।
আরও পড়ুন- বাড়ির উত্তর দিকে এই ৪ জিনিস রাখলে অর্থ সংকট, রুষ্ট হন কুবের
শনিবার কাঁচি লেনদেন নয়- শনিবার ভুল করেও কাঁচি লেনদেন করা উচিত নয়। এতে ঝামেলা বাড়ে। কাউকে উপহার হিসেবেও কাঁচি দেওয়া উচিত নয়।
শনিবার নুন কিনবেন না-শনিবার নুন কিনলে রেগে যান শনিদেব। এই দিনে নুন কিনলে ঋণের বোঝা বাড়ে। আর্থিক দুর্বলতার সম্মুখীন হতে হয়।
রান্নাঘরে এঁটো বাসন- রান্নাঘরে এঁটো বাসন রাখলেও শনিদেব রাগ করেন। রান্নাঘরে বাসনপত্র পরিষ্কার রাখুন। যাঁরা রান্নাঘরে এঁটো বাসন রেখে যান তাঁদের জীবনে আসে বাধাবিঘ্ন।