বৈদিক জ্যোতিষে শনিদেবকে কর্মফলদাতা ও ন্যায় প্রদানকারী বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি শনিদেব সবচেয়ে ধীর গতিতে রাশি পরিবর্তন করে থাকেন। এর অর্থ হল, শনি এক রাশি থেকে দ্বিতীয় রাশিতে গোচর করতে প্রায় দেড় বছর সময় নেয়। শনিদেবের গোচরের ফলে কিছু রাশির ওপর সাড়েসাতি ও ধাইয়া শুরু হয়ে যায় আবার কোনও কোনও রাশির ওপর তা শেষ হয়। জেনে রাখুন যে শনিদেব চলতি বছরের জানুয়ারিতে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করে ফেলেছে, যার ফলে মীন রাশিতে শনির সাড়েসাতি ও বৃশ্চিক রাশিতে ঢাইয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আসুন জেনে নিই যে কোন কোন রাশিতে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত শনির সাড়েসাতি ও ঢাইয়া চলবে।
এই রাশির ওপর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে সাড়েসাতির প্রভাব
বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে, এখন মীন রাশির জাতকদের ওপর শনির সাড়েসাতির প্রথম চরণ চলছে। এই রাশির জাতকদের ৮ অগাস্ট ২০২৯ সালে সাড়েসাতি থেকে মুক্তি মিলবে। অন্যদিকে কুম্ভ রাশির জাতকদের সাড়েসাতির দ্বিতীয় চরণ চলছ। এই রাশি জাতকদের ৩ জুন ২০২৭ সালে এই সাড়েসাতি থেকে রেহাই পাবেন। অপরদিকে মকর রাশির ওপর সাড়েসাতির শেষ চরণ চলছে, এঁরা ২০২৫ সালের ২৯ মার্চ এই দোষ থেকে মুক্তি পাবেন।
এই রাশিদের ওপর থাকবে সাড়েসাতি
মার্চ ২০২৫ সালে শনিদেব রাশি পরিবর্তন করবে। যার ফলে মেষ রাশির জাতকদের ওপর শনির সাড়েসাতি শুরু হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি এই জাতকদের ২০৩৪ সালের ৩ জুলাই এই সাড়েসাতি ছেড়ে চলে যাবে। অপরদিকে, ২০২৭ সালের ৩ জুন বৃষ রাশির জাকদের ওপর সাড়েসাতির প্রথম চরণ শুরু হয়ে যাবে। এই রাশির জাতকরা ২০২৯ সালে ১৩ জুলাই এর থেকে মুক্তিলাভ করবেন। অপরদিকে মিথুন রাশির জাতকদের ২০২৯ সালের ৮ অগাস্টে সাড়েসাতি শুরু হবে যেটা চলবে ২০৩৬ সালের ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত। এই সময় এই রাশিদের অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হবে। স্বাস্থ্য খারাপ থাকবে, চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি হবে না। কর্কট রাশির জাতকদের ২০৩২ সালের ৩১ মে থেকে সাড়েসাতি শুরু হবে যা চলবে ২০৩৮ সালের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।