অনেক সময় বাড়িতে কোনও কারণ ছাড়া নানা কলহ লেগেই থাকে। ছোট ছোট বিষয়ে অশান্তি দেখা যায়। বাস্তু দোষ, গ্রহের দোষও এর জন্য দায়ী। ঘরের রং এবং বাড়িতে বসবাসকারী মানুষ ঠিক থাকলে সংসারে সুখ- শান্তি বজায় থাকে।
এগুলির একটিও যদি সঠিক না হয়, তাহলে ঘরে অনৈক্য ও অশান্তি লেগেই থাকে। ঘরের কলহ দূর করতে সবার আগে ঘরের রং ঠিক করতে হবে। জানুন আর কীভাবে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
ঘরে হালকা ও সুন্দর রং ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে বসার জায়গায় শুধুমাত্র হালকা হলুদ, গোলাপী বা সবুজ রং রাখুন। বেডরুমে গোলাপি, বেগুনি বা সবুজ রঙের হালকা শেড ব্যবহার করুন এবং ছাদের রং অবশ্যই সাদা রাখুন।
গৃহস্থালী সামগ্রী এবং মানুষ থেকে শক্তি তৈরি হয়। কিছু জিনিস ঘরে রাখবেন না। যেগুলি কোনও কাজে আসে না এসব জিনিস বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন। বাড়িতে বাসি খাবার এবং অব্যবহৃত জুতো- চপ্পল রাখা হয়, সেসব বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে এবং তা বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মূল দরজা বাড়ির অন্যান্য দরজার থেকে বড় হওয়া উচিত। যদি এটি না হয়, তবে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সেই বাড়িতে সর্বদা ঝামেলা লেগেই থাকে।
বাথরুমে বা ওয়াশ বেসিনের কল থেকে জল যেন অনবরত না পড়ে। এটি বাস্তু দোষের সঙ্গে সম্পর্কিত। ভাঙা কাঁচ এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিস ঘরে নেতিবাচক শক্তি ছড়ায়। এতে পরিবারের সদস্যদের মানসিক চাপে পড়তে হয়।
এছাড়া বাসস্থানের পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। এটি আপনাকে কাজে সাফল্য এনে দেবে। বেডরুম এবং বাথরুম পরিষ্কার রাখলে, বাড়ির সদস্যরা মানসিক চাপের থেকে মুক্তি পাবেন।
ভুলবশত, মৃত্যু, যুদ্ধ ইত্যাদি নেতিবাচক শক্তিকে বোঝাচ্ছে এরকম ছবি বাড়িতে রাখবেন না। ঠাকুরঘরের কাছাকাছি কোনও ডাস্টবিন থাকা উচিত নয়।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)